“কে আসিয়াছে?” গুহা সেই দিকে চাহিয়া বলিল— “কেও”
উত্তর হইল “মুইডা তালগাছ” ভীলপুত্র কিছু বেশী রকম লম্বা ছিল বলিয়া উহাকে সবাই বলে তালগাছ।
যুবক বলিল “তুই ডা এখন এখানে যে?”
‘ভীল পুত্র বলিল “কথাডা আছে এ দিকে আয় যুবক বলিল “একটু পরে শুনিব—এখন যা”
সে বলিল “উঁহু” তা হইবু না—এদিকে আয়’
সত্যবতী বুঝিলেন তাহার সাক্ষাতে সে বলিতে চাহে, আর তিনিও নির্জ্জনে গিয়া একবার প্রাণ খুলিয়া কাঁদিবার অবসর খুঁজিতেছিলেন,—যে কথা গুহাকে বলিতে চান তাহা বলিবার আগে, একাকী কাঁদিয়া সবল হইবার ইচ্ছা করিতেছিলেন। সত্যবতী আস্তে আস্তে চলিয়া গেলেন, গুহা ঝোপ ঘুরিয়া তালগাছের কাছে আসিয়া দাড়াইল।
নবম পরিচ্ছেদ।
এত শীঘ্র যে ভীলপুত্র আবার গুহার মুখামুখি হইয়া দাঁড়াইবে খানিকক্ষণ আগে তাহা সে জানিত না। খানিকক্ষণ আগে তাহার স্থিতি গতি সমস্তই একটা অন্ধকার অনিশ্চিতের মধ্যে নিহিত ছিল। পিতার আজ্ঞায় নবঅভিষিক্ত, গুহাকে প্রণাম করিয়া সে যখন অলক্ষ্যে উৎ-