“সত্যই কি তবে পিতার স্নেহ তাহারি আছে, ভীলপুত্র কি এতক্ষণ তবে স্বপ্ন দেখিতেছিল—মিথ্যা একটা কুহকের মধ্যে ডুবিয়াছিল!”
পিতার সে স্নেহের কথায়, সেই স্নেহের আলিঙ্গনে, দীর্ঘকাল ব্যাপী একটা দুঃস্বপ্ন যেন তাহার হঠাৎ ভাঙ্গিয়া গেল, অনেক দিন পরে একটা মহাঘুম হইতে জাগিয়া উঠিয়া প্রগাঢ় শান্তিতে তাহার হৃদয় ডুবিয়া গেল, সে শিশু কালের নির্ভর ভাবে শিশু কালের বিশ্বাস ভরে পিতাকে জড়াইয়া ধরিয়া নিতান্ত শিশুটির মত বলিল “বাবা আমি রাজ্য চাহি না,—তোর এই বুক আমার থাকিলে আমি কিছুই চাই না আর —”
ভীলরাজ বলিলেন “ইহা ত চিরকাল তোরি আছে বৎস”
ভীমপুত্র পিতার, স্কন্ধ হইতে মুখ তুলিয়া তাঁহার আলিঙ্গন হইতে মুক্ত হইয়া এমনি দৃষ্টিতে তাঁহার দিকে চাহিল—যেন সে তাহার পিতার নিকট কত অপরাধই করিয়াছে—একটু পরে বলিল—
“এতদিন আমি তা বুঝি নাই—আমি মনে করিতাম গুহা আমার শত্রু”
ভীলরাজ একটু থামিয়া বলিলেন “আপনি আপনার শত্রু না হইলে জগতে কেহ কাহারো শত্রু নাই। বৎস এখন ত বুঝিয়াছ গুহা তোমার শত্রু নয়?”
পিতার সম্মুখে দাঁড়াইয়া, পিতার বুকে আশ্রয় পাইয়া,