পিতার স্নেহে পূর্ণ হইয়া, তাহার আর তখন কাহাকেও শত্রু জ্ঞান ছিল না তাই সে বলিতে পারিয়াছিল “আমি মনে করিতাম গুহা আমার শত্রু” তাই সে আবার বলিল—“আমার কেহ আর শক্ত নাই বাবা”
মন্দালিক বলিলেন “বৎস তবে এই মুহূর্ত্তে তাহাকে মিত্র বলিয়া আলিঙ্গন করিয়া এস, সময় চলিয়া গেলে এ ভাব নাও থাকিতে পারে। এখন এ শুভ সময়ে যাহাকে মিত্র বলিবে, পরে আর তাহাকে শত্রু মনে হইবে না”
অনেক কষ্টের পর, অনেক দিনের পর ভীলপুত্রের হৃদয় প্রেমের সুখে পূর্ণ, উথলিত, বিশ্ব সংসারকে প্লাবিত করিতে যেন ব্যগ্র, গুহা সেই বিশ্ব সংসারের একজন, গুহাকে কেন সে তাহার প্রেমের ভাগ না দিবে, সে অকুণ্ঠিত চিত্তে আবার বলিল “সে আমার শত্রু নয় বাবা—আমি তাহাকে আলিঙ্গন করিব”
মন্দালিক বলিলেন “তবে এখনি যাও বৎস, এ মুহুর্ত্ত অবহেলা করিও না”
যাইবার আগে ভীলপুত্র পিতাকে আর একবার আলিঙ্গন করিল।
দুই এক পদ গিয়া সে আবার থামিয়া দাঁড়াইল—ফিরিয়া জিজ্ঞাসা কৱিল—“বাবা ডা একটা কথা মনে হইল, গুহা ত রাজা হইবার নয়”
ভীলরাজ বিস্মিত হইলেন—বলিলেন “এ কথা কেন