শুনিল “লোকে তোমাদিগকে পর বলিবে?—যদি আমি মানুষ হই, ত এত দিন এই যে বাণ পশু বক্ষ বিদ্ধ করিয়াছে। ইহা সেই দিন সেই হতভাগার শোণিত পান করিবে—”
ভীলপুত্র আগুণ হইয়া উঠিল, এ কথা মন্দালিককে লক্ষ্য করিয়া যে বলা হইয়াছে এ বিষয়ে তাহার সন্দেহ মাত্র রহিল না। মন্দালিক এ কথা যখন তাহাকে বলিয়াছেন, নিঃসন্দেহ আর এক জনকেও বলিয়াছেন গুহা তাহা শুনিয়া এইরূপ বলিতেছে। তিনি ছাড়া এ কথা কেহ জানে না, কেহ বলিতেও সাহস করিবে না।
ভীলপুত্র যে জন্য আসিয়াছিল একেবারে ভুলিয়া গেল, এখন তাহার শত্রু তাহার পিতারও শত্রু, স্পষ্ট করিয়া তাহাকে শত্রু বলিয়া ডাকিতে আর তাহার সঙ্কোচ রহিল না। গুহা যখন তাহার নিকট আসিয়া দাঁড়াইল—তাহার ক্রুদ্ধ মুখ-ভঙ্গী দেখিয়া বুঝিল গতিক বড় ভাল নহে, রাজ্য পাইয়া সে যে তালগাছের শত্রু হইয়া দাঁড়াইয়াছে তাহা বুঝিল—বলিল—“কেন ডাকিলি, কথাটা কি?”
ভীলপুত্র উত্তর করিল “কথাডা—তুইটা কাল সপ্প কেউটা, গোখরা”!
যুবক ঠাট্টার ছলে কথাটা উড়াইতে গিয়া বলল “এই কথার জন্য এতদূর কষ্ট করিয়া আসিবার ত আবশ্যক ছিল না”
ভীলপুত্র বলিল “তুইডার মুণ্ডপাতের আবশ্যক ছিল?