তাহার কথা একটু বাধিল না, স্পষ্ট স্পষ্ট কথায় সত্যের মূর্ত্তি যেন তাহার কণ্ঠ হইতে নিঃসৃত হইল, যুবক মুহূর্ত্তের জন্য নির্ব্বাক নিস্পন্দ হইয়া পড়িল, সেই কঠিন কথাগুলা তাহার মাথার মধ্যে ঘুরপাক দিয়া বেড়াইতে লাগিল, —সেই সঙ্গে দিদির শেষ কথাটিও মনে আসিয়া —পড়িল দিদি কি বলিতে বলিতে থামিল? “কি—সত্যি”—কি সত্যি? —ভীলপুত্র যাহা বলিতেছে তাহাই কি? যুবক কি যেন হইয়া পড়িল।
ভীলপুত্র বলিল “এই কথার লাগিন—তুইডা বাবারে মারিতে চাহিলি—মুইডা আসিছি—ধনুডা ধর—
যুবক আত্মস্থ হইয়া বলিল —“তুই মন্দালিকের পুত্র না হইলে অনেক আগে ধনুক ধরিতাম’— ভীলপুত্র তীব্র বিদ্রুপের হাসি হাসিয়া বলিল “বাবাডারে মারিতে পার—ছেলেডারে মারিতে নার? বড়ই ন্যাকা পাইছ! ধনু উটারে কালসপ্পডা!”
যুবক তাহার প্রতি অবজ্ঞার কটাক্ষপাত করিয়া বলিলেন “মরিতে এতই ইচ্ছা হইয়া থাকে শেষ প্রহরে জ্যোৎস্নার সময় ভীলগ্রামের দক্ষিণ মাঠের পুকুর তীরে বড় গাছের নীচে আমাকে পাইবি। এখন অন্ধকার— অন্ধকারে ন্যায়যুদ্ধ হয় না—
ভীলপুত্র বলিল “কথাডা বেশ। মুইড সামনে মাঝারি গাছটার তলায় থাকিব”—