এই কুণ্ডের উৎপত্তি হয়,—বর এই, বিপন্ন রাজা মন্ত্র উচ্চারণ করিয়া ডাকিলেই সূর্য্যদেব সপ্তাশ্ব রথে এই কুণ্ড হইতে উথিত হইয়া শত্রুকূল ধ্বংশ করিবেন, কিন্তু যে দিন একবিন্দু রক্ত এই কুণ্ডে পতিত হইবে সেই দিন মন্ত্র ব্যর্থ হইবে।
কমলাবতী সেখান হইতে যখন রাণীর নিকট কিরিয়া আসিলেন তখন রাণী সংজ্ঞাহীন, তিনি যে সমস্ত কথাই শুনিয়াছেন কমলাবতী বুঝিলেন। অল্পক্ষণের মধ্যে সেই গুহাতেই রাণীর সন্তান জন্মিল, নব শিশুকে কমলাদেবীর হস্তে সমর্পণ করিয়া তিনি প্রাণত্যাগ করিলেন, পর্ব্বতেই তাঁহার অগ্নিকার্য্য সমাধা হইল। পুরোহিত সপরিবারে চন্দ্রবতী-সন্নিহিত নিভৃত ইদর-অরণ্য প্রদেশে বসতি স্থাপন করিলেন।
সত্যবতীর কথা শেষ হইলে বড় বড় দুই ফোঁটা জল গুহার কপোল বাহিয়া মাটীতে পড়িল,—
গুহা বলিল “দিদি এ কথা তবে এতদিন লুকাইয়া রাখিয়াছিলি কেন?”
সত্যবতী বলিল “মৃত্যুকালে তোমার মা আমার মাকে দুই একটি অনুরোধ করিয়া যান, প্রধান এই, যেন কোন ক্ষত্রিয়ানীর সহিত তোমার বিবাহ হয়, আর তোমার চতুর্দশ বর্ষ বয়ঃক্রম পর্য্যন্ত তোমাকে যেন ব্রাহ্মণরূপে প্রতিপালন করা হয়। তোমার সামর্থ্য জন্মিবার আগে