বৎসর না গত হইলে এ কথা কাহাকে তিনি বলিবেন না প্রতিশ্রুত হইয়াছিলেন,—এখন সময় পূর্ণ হইয়াছে—তাই এ কথা তাঁহার পুত্রকে বলিয়া থাকিবেন”—
গুহা চুপ করিয়া রহিল —বুঝিল ভীলপুত্র দোষী নহে সে নিজেই দোষী।
দ্বাদশ পরিচ্ছেদ।
আঁধার সন্ধ্যা, আকাশে চন্দ্র নাই, গাছ পালায় ঢাকাঢাকা ক্ষুদ্র ভীলগ্রাম কাল একটা ছায়া মণ্ডলীর মধ্যে লুকাইয়া পড়িয়াছে, অদূরে ঈষদুচ্চ শিখর প্রদেশে বসিয়া ভীমপুত্র সেই ছায়ার প্রতি একদৃষ্টে চাহিয়া আছে, তাহার আগ্রহপূর্ণ তীক্ষ্ণ দৃষ্টিধার অন্ধকারের অবরণ যেন ভেদ করিয়া ভীলগ্রামের প্রত্যেক কুটীরগুলি প্রত্যেক গাছটি পর্য্যন্ত ভীলপুত্রের সম্মুখে উন্মুক্ত করিয়া দিয়াছে।
গ্রামের মধ্যস্থলে—বড় রাস্তার সম্মুখে, তরুশ্রেণীর মধ্যে তাহাদের পাতায় ছাওয়া কুটীরখানি; এতক্ষণ কুটীরে আলো জ্বলিয়াছে, এতক্ষণ তাহার সঙ্গীরা সারাদিনের আমোদ আহ্লাদের পর শ্রান্তসুরে গান গাহিতে গাহিতে বাড়ী ফিরিতেছে, পথিমধ্যে তাহাদের বাড়ীর কাছে আসিয়া পড়িয়া একবার করিয়া তাহার নাম ধরিয়া ডাকিতেছে, উত্তর না পাইয়া হয়ত বা তাহার মায়ের কাছে গিয়া তাহার খোঁজ লইয়া যাইতেছে। মা এতক্ষণ গৃহের