লিকের একটা ধূঁয়া—একটা অন্ধকার একটা যেন ভ্রান্তি বলিয়া বোধ হইল—গুহা তাঁহাকে মারিতে চাহিবে—একথা কেমন করিয়া তাঁহার বিশ্বাস হইবে, —অথচ পুত্রের প্রত্যেক কথা বৃশ্চিক হুলের ন্যায় তাঁহার হৃদয়ে বিদ্ধ হইল, শীতল হিমময় রাত্রে তাহার কপাল ঘর্ম্মসিক্ত হইয়া উঠিল—তিনি কম্পিত কণ্ঠে ধীরে ধীরে বলিলেন—
“মোরে মারিতে চাহিল গুহাডা! বেশ মুইকে তার শোধ নিতে দে —তুইডা কিছু করুস্ না —মোর কথাড। রাখ্”—
একবার দ্বন্দ্বযুদ্ধে আহ্বান করিয়া তাহাতে নিরস্ত হওযাই ত কাপুরুষতা, তাহার উপর সে থাকিতে কিনা পিতার অপমানের শোধ পিতা লইতে যাইবেন।
ভীলপুত্রের প্রদীপ্ত চক্ষু অন্ধকারের মধ্যেও জ্বলিয়া উঠিল—সে উত্তেজিত কণ্ঠে ঈষৎ তীব্রস্বরে বলিল—“বাবাডা মুই যে ধনু ধরিবার কথাডা দিয়ে আসিছি তা ভুললু নাকি? আর মুই থাকিতে তুইডা শোধ লইবি?”
এই যুদ্ধ হইতে পুত্রকে যে সহজে নিরস্ত করিতে পারিবেন না তাহা মন্দালিক জানিতেন—তিনি অনুনয়ের স্বরে আবার বলিলেন “বেটারে শোন তুইডা—তোর কথা ফিরাইতে হইবু না, সেইডাই কথা ফিরাইবে—তুইডা ক্ষমা কর শুধু। সেডা মোরে মারিতে চাহে নাই, কথার কথাডা কি বলিল—সে লাগিন সে ক্ষমা চাহিবে—তুইডা ক্ষমা কর”—