পাতা:মিবাররাজ.djvu/৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৭০
পরিশিষ্ট।

 একটু অপ্রাসঙ্গিক হইলেও এইখানে আমরা আর একটি কথা বলিব।

 ক্ষত্রিয় রাজাদিগের পাণ্ডু লেখ্য ইতিহাসাবলী,[১] তাঁহাদের ভাটগ্রন্থ তাঁহাদের মন্দিরস্থ খোদিত লিপি প্রভৃতি হিন্দুদিগের যে সকল লেখা হইতে টড মিবার-রাণাগণের পরিচয় গ্রহণ করিয়াছেন সে সকলেই রাণাগণ সূর্য্যবংশ বলিয়া উক্ত। মাঝখান হইতে কোন কোন যাবনিকগ্রন্থ কি রূপ যুক্তিহীন কথায় রাণাদিগের এই সূর্য্য কুলে ইরাণীত্ব আরোপ করিয়া তাঁহাদের বংশগৌরব মলিন করিতে প্রয়াস পাইয়াছে পাঠকদিগকে আমরা তাহা না দেখাইয়া থাকিতে পারিলাম না।

 “মাসার অল ওমরা” নামক গ্রন্থের উক্তি হইতেই প্রধানতঃ উক্তরূপ অনুমানের জন্ম।

 শিবজির ইতিহাস ‘লেখক লক্ষ্মীনারায়ণ সুফিক আরঙ্গাবাদি’ (আরঙ্গাবাদের কাব্যলেখক) রাণা রংশ বলিয়া শিবজির পরিচয় প্রদান প্রসঙ্গে তাঁহার পুস্তকে উল্লিখিত গ্রন্থের


  1. খোমান রস, রাজ রত্নাকর, রাজবল্লভ, জয়বল্লভ প্রভৃতি। এই সকল ইতিহাসাদি হইতে টড রাজাদিগের যে পরিচয় সঙ্কলন করিয়াছেন তাহার পৌরাণিক অংশ ছাড়িয়া দিলে কনকসেন হইতেই ইঁহাদের ইতিহাস আরম্ভ হয়, মিবাররাজে আমরা সংক্ষেপে গুহার পূর্ব্বেকার এই বংশ ইতিহাস প্রদান করিয়াছি।