পাতা:মিবাররাজ.djvu/৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
8
মিবাররাজ

সৌন্দর্য্য প্রভাত-রৌদ্রে প্রকাশিত করিয়া যখন ভীলদিগের নিকট আসিয়া পোঁছিল—তখন—প্রকৃতির সৌন্দর্য্য দেখিয়া কবির হৃদয়ে যেরূপ আনন্দ জন্মে যুবকের সেই সুবর্ণ-সুঠামবলিষ্ঠ মূর্ত্তি দেখিয়া তাহাদের সেইরূপ আনন্দ হইল। তাহাদের মনে হইল তাহার কান্তি পাইয়াই যেন প্রভাতটা এত উজ্জ্বল হইয়া উঠিয়াছে। একজন কেবল সেরূপ আনন্দের ভাব প্রকাশ করিল না। বৃদ্ধ ভীল সস্নেহে অনন্দপূর্ণ-হৃদয়ে যুবকের পিঠে হাত দিয়া বলিলেন—“এতক্ষণে আইলি বাপুরে।” যুবক হাসিতে হাসিতে বলিল—“শেষ রাতে আমার দিদি শ্বশুরবাড়ী থেকে এসেছেন তাই আসিতে দেরী হয়ে গেল”—দিদি আসিয়াছেন—বলিতে যুবকের কত আনন্দ! বলিতে বলিতে সে আনন্দ যেন তাহার সর্বাঙ্গে ছাইয়া পড়িল; তাহার আনন্দ দেখিয়া ভীলেরাও মহা-আনন্দিত হইল-বলিল-“তবে চল রে চল-শিকারে চল—”

 সকলে মিলিয়া আনন্দ-রব করিতে করিতে শিকারে গমন করিল। অরণ্যে প্রবেশ করিয়া গাছের ডাল ভাঙ্গিয়া, পাতা ছিঁড়িয়া, পাখী মারিয়া, পশু মারিয়া, ভয়বিহ্বল পলাতক পশুদিগের পশ্চাৎধাবিত হইয়া অরণ্য তোলপাড় করিতে লাগিল। এই সুপ্রভাতে অরণ্যবাসী নিরীহ পশু পক্ষীদিগের আকুল ক্রন্দন আর শিকারীদিগের পৈশাচিক উন্মত্ত চীৎকার ধ্বনি যতদুর গেল—বিদীর্ণ করিয়া