দিল্লীর সম্রাট আলাউদ্দীন দুইবার মিবারের রাজধানী চিতোর আক্রমণ করিয়াছিলেন। প্রথম বারেই তিনি চিতোর এক প্রকার শ্মশানে পরিণত করিয়া যান, তথাপি আবার দ্বিতীয়বার আক্রমণ করেন। এবারে মিবারের রাণা লক্ষ্মণ সিংহ ঘোর চিন্তায় অভিভূত হইলেন। কিন্তু রাজপুত বীরগণ ভীত হইলেন না, অতুল সাহসের সহিত যুদ্ধের আয়োজন করিতে লাগিলেন। দেখিতে দেখিতে হিন্দু মুসলমানে ঘোরতর যুদ্ধ উপস্থিত হইল। চিতোরের বীরগণ একে একে প্রায় সকলেই রণক্ষেত্রে শয়ন করিলেন তথাপি যুদ্ধের বিরাম নাই। রাণা অপার চিন্তায় নিমগ্ন হইলেন। চিতোর যে বীরশূন্য হইল। যাঁহাদের উৎসাহবাক্যে, যাঁহাদের চক্ষের অগ্নিতে রাণার অবসন্ন প্রাণে নূতন সাহস-নূতন বল আসিত, কোথায় সে সকল চিতোরের বীরগণ। বীরের রক্তে চিতোর ভূমি ভাসিয়া গেল, তবুত শত্রু শাসিত হইল না। দিন দিনই যবন সেনা চারিদিক গ্রাস করিয়া ফেলিল। মিবারের স্বাধীনতা আর বুঝি রক্ষা হয় না। পবিত্র চিতোর ভূমি যবন হস্তে কলঙ্কিত হইবে। বীর বাপ্পা
পাতা:মিবার-গৌরব-কথা - হেমলতা দেবী.pdf/১৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ময় ভূখা হুঁ।
