পাতা:মিবার-গৌরব-কথা - হেমলতা দেবী.pdf/৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

ধাত্রী পান্না।

 সংগ্রামসিংহের মৃত্যুর পর তাঁহার পুত্র রত্ন ও বিক্রমজিৎ যথাক্রমে চিতোরের সিংহাসনে আরোহণ করেন। রাণা বিক্রমজিৎ পিতার অতি অনুপযুক্ত পুত্র ছিলেন। তাঁহার বীরত্ব এবং তেজস্বিতার যে অভাব ছিল তাহা নয়। তিনি এমন উদ্ধত ও অত্যাচারী ছিলেন যে, তাঁহার শাসনাধীনে সর্দ্দারগণ ও প্রজাগণ কেহই সুখী ছিল না। আভ্যন্তরীণ অশান্তির বিষয়, জানিয়া গুর্জ্জরের মুসলমান অধিপতি বাহাদুর মিবার রাজ্য আক্রমণ করিয়াছিলেন। এই যুদ্ধে বাহাদুরের পক্ষে একজন ইউরোপীয় গোলন্দাজ ছিল। বহুদিন হইল রাজপুতগণ এমন ভীষণ যুদ্ধ করে নাই। চারিদিক্‌ হইতে দলে দলে রাজপুত বীরগণ আসিয়া এই যুদ্ধে যোগদান করিল, বিক্রমজিৎও বীরের ন্যায় মিবারের স্বাধীনতা রক্ষার জন্য প্রাণপণে যুদ্ধ করিতে লাগিলেন। কিন্তু মিবারের সর্দ্দারগণ রাণার দুর্ব্ব্যহারে অন্তরে এরূপ জর্জ্জরিত ছিলেন যে, তাহারা সমগ্র মনপ্রাণের সহিত যুদ্ধে যোগদান করেন নাই। যুদ্ধের অবসান না হইতেই—সংগ্রামের শিশুপুত্র উদয়সিংহ এবং চিতোর নগরী