পাতা:মিল্টনের জীবন চরিত.pdf/১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
মিল্টনের জীবন-চরিত।

 ১৬৪৩ খৃঃ অব্দে পঙ্কত্রিংশৎ বর্ষ বয়ঃক্রম কালে মিল্‌টন অক্‌সফোর্ডের শান্তিরক্ষক বিচারপতি পাউয়েল সাহেবের কন্যাকে পরিণয় করেন। বোধ হয়, তাঁহার বনিতা তত্তুল্য মহৎ লোকের সঙ্গী হইবার উপযুক্ত পাত্রী ছিলেন না। বিবাহের কয়েক সপ্তাহ পরেই একটি আশ্চর্য্য ঘটনা উপস্থিত হয়। পিতার সহিত সাক্ষাৎ করিতে যাইব বলিয়া, উক্ত স্ত্রী ভর্ত্তার নিকটে কিছুকালের জন্য বিদায় গ্রহণ করিলেন কিন্তু তাহার পরে আর প্রত্যাগমন করিলেন না। মিল্‌টন পুনঃ পুনঃ আসিতে অনুরোধ করিতে লাগিলেন কিন্তু তাহা কোনমতেই গ্রাহ্য হইল না এক জন লোক প্রেরিত হইলে সেও অপমানিত হইয়া ফিরিয়া আসিল। পাউয়েল সাহেব পদচ্যূত সম্রাট প্রথম চার্লসের পক্ষ ছিলেন এবং তাঁহার জামাতা ইংলণ্ডীয় সাধারণ-তন্ত্র কমনওয়েল্‌থের এক জন প্রধান পোষক ছিলেন। কথিত আছে ভিন্ন মতাবলম্বী জামাতার নিকট দুহিতাকে বাস করিতে দিতে পাউয়েল সাহেব অত্যন্ত অনিচ্ছুক ছিলেন।