পাতা:মিল্টনের জীবন চরিত.pdf/১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
মিল্টনের জীবন-চরিত।

মিল্‌টন এই অবাধ্যতা হেতু পত্নিকে ত্যাগ করিলেন, কিন্তু ব্যবহারানুসারে ডাইবোর্সকোর্ট নামা বিচারালয়ের সম্মতি গ্রহণ করা অনাবশ্যক ইহা বাইবেল গ্রন্থ হইতে নানা প্রস্তাব প্রদর্শন দ্বারা প্রমাণ করিলেন। সেই পুস্তক প্রকাশিত হইলে ধর্ম্মযাজকেরা মিল্‌টনের প্রতি অত্যন্ত অসন্তুষ্ট হইয়া পার্লিয়ামেণ্ট মহাসভায় তাঁহার নামে অভিযোগ করেন কিন্তু সেই স্থানে তিনি অব্যাহতি প্রাপ্ত হইলেন। পূর্ব্বোক্ত সাংসারিক কষ্টে পতিত হইয়াও মিল্‌টন বিদ্যাচর্চা হইতে নিরস্ত হয়েন নাই। তিনি ‘বিদ্যাশিক্ষা’ নামে একটি প্রবন্ধ রচনা এবং রাজ্যের অজ্ঞাতসারে পুস্তক মুদ্রাঙ্কন পক্ষে একটি বক্তৃতা প্রকাশ করেন। প্রথমোল্লিখিত পুস্তকখানি পাঠ করিলেই, গ্রন্থকর্ত্তার সাহিত্য-শাস্ত্রে অসাধারণ ব্যুৎপত্তির চিহ্ণ প্রাপ্ত হওয়া যায়। হেলি সাহেব বলেন যে, দ্বিতীয় গ্রন্থে মিল্‌টন উত্তম গ্রন্থের যে বর্ণনা করিয়াছেন, তাহা সেই গ্রন্থেরই গুণ বর্ণনা মাত্র। মহাকবি মিল্‌টন কহেন, ‘গ্রন্থকর্ত্তার