পাতা:মিল্টনের জীবন চরিত.pdf/২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২২
মিল্টনের জীবন চরিত

যথোচিত প্রশংসা করিতে অনিচ্ছা প্রকাশ করেন নাই। আধুনিক কালে সুবিদ্বান বাঙ্গালিরাও সেই দৃষ্টান্তের অনুগামী হইয়াছেন। এমন কি তাঁহারা বিবিধ ধর্ম্মের গুণাগুণ পরীক্ষা করিতে ভীত হয়েন নাই। সে যাহাহউক, একালে যে বঙ্গদেশে মিল্‌টনের নাম প্রত্যেক যুবা পুরুষ দ্বারা উল্লেখিত হইবে তাহার সন্দেহ নাই। বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন হেতু তাঁহাদিগকে কৃতবিদ্য হইয়া জীবনের নানা উদেশ্যসাধন করিতে হইবে, কাহাকেও বা রাজকীয় পদে নিযুক্ত হইয়া স্বদেশীয় ভ্রাতাদিগের বিবিধ মঙ্গল সাধন করিতে হইবে; কাহাকেও বা দেশ বিদেশ পর্য্যটন দ্বারা তত্তদ্দেশীয় সুনীতি-সমূহ স্বদেশে প্রচলিত করিতে চেষ্টান্নিত হইতে হইবে; অপর কাহাকেও বা অধ্যাপনা দ্বার সুশিক্ষা কার্য্য সম্পাদন করিতে হুইবে। কিন্তু সকলকেই ন্যায়ব্রত অবলম্বন পূর্ব্বক জীবনের সকল কার্য্যে তৎপর হইতে হইবে। সকল ধর্ম্মাবলম্বী স্বীকার করিবেন যে মিল্‌টনের চরিত্র ন্যায়পরতাপূর্ণ। তিনি যথেচ্ছাচারী সম্রাটের রাজ্য, বিপুল দুঃখের আকর