পাতা:মিশরযাত্রী বাঙ্গালী - শ্যামলাল মিত্র.pdf/১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

' a মিশরযাত্রী বাঙ্গালী । জের উন্নত মাস্তলের শীর্ষদেশে আসিয়া বসিল ; উড্ডয়নশীল ক্ষুদ্রকায় মৎস্যদল হঠাৎ জাহাজ সমাগমে ইতস্ততঃ ঝাঁকে ঝাকে উড়িয়া যাইতে লাগিল। আজি সাত দিবস পরে এই প্রথম প্রাণি-সমাগমে ও জড়কায় পৰ্ব্বতন্তর দৃষ্টে আমরা কত যে আনন্দ লাভ করিয়াছিলাম, তাহ বর্ণন করা অপেক্ষা অনুভব করা অধিক সহজ । দয়াময় ঈশ্বরের অনস্তরাজ্যে যেখানেই যাই না, সেইখানেই দেখিতে পাই, যেন ভূচর, জলচর, খেচর, ভূধর, সাগর, নগর, কানন, চেতন, অচেতন সকলেই আমাদের সম্বৰ্দ্ধনার নিমিত্ত সৰ্ব্বত্রই প্রস্তুত রহিয়াছে। সাত দিবস পরে ঐ কয়টা জন্তুর প্রথম সন্দর্শনে যে কত আনন্দ লাভ করিয়াছিলাম, তাহার গভীরত্ব পরিমাণ করিতে পারি না। ধন্ত জগৎ প্রসবিতা পরমেশ্বরের অত্যাশ্চর্য্য কৌশল । বেল প্রায় ১১টার সময় জাহাজ বন্দর সমীপস্থ হইলে, তথা হইতে প্রায় ১ মাইল দূরে নজর করা হইল। জাহাজ হইতে আদমের উচ্চ হৰ্ম্ম্যরাজি অতি মনোহর বোধ হইতে লাগিল । গৰ্ব্বিত আদম অতলস্পর্শ সাগরের ভিতর হইতে উন্নত মস্তক আরও উন্নত করিয়৷ আকাশ স্পর্শ করিতেছে। আদমের চারিদিক অনন্ত জলরাশিতে পরিবেষ্টিত। মহাবল পরাক্রাস্ত আদমের নিকট যেন পরাজিত হইয়াই সাগরোৰ্ম্মিমালা তাহার পদদেশ ধৌত করিতেছে। ক্ষুদ্র আদম সহরটা উপত্যকার উপর গঠিত। কঠিন পৰ্ব্বতোৎপন্ন একটী সামান্ত স্রোতস্বতী বক্র গতিতে আদমের এক পাশ্ব দিয়া প্রবাহিত হইতেছে। ইহারই মিষ্ট এবং স্নিগ্ধ বারি পান করিয়া তৎপ্রদেশবালিগণ পিপাসা শাস্তি করে । আসিতে পারে না। এ জন্তই ইহ “ভারতের দ্বার”(Key of India) বলিয়া উক্ত হইয়া থাকে। ইহা বলবান যুদ্ধপটু ইংরেজ সৈন্ত দ্বারা সৰ্ব্বদা স্বরক্ষিত। ইহার আদিম অধিবাসিগণ দেখিতে কাষ্টিদিগের