পাতা:মিশরযাত্রী বাঙ্গালী - শ্যামলাল মিত্র.pdf/৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

«Og विश्वं ब्रदर्शी यांचांत्री । সৰ্ব্বনাশ করিতেছে, কোথাও জীষণ তৃষ্ণ ও ক্ষুধায় জাকুল পখিক আহারাভাবে উগ্ৰমূৰ্ত্তি ধারণ করিয়া দুৰ্ব্বলের মুখোত্তেলিত আছাৰ্য্য কাড়িয়া লইয়া আপন উদরপূৰ্ত্তি করিতেছে। যে দিকে নয়নপাত কর দেখিতে পাইবে মিশর এতাদৃশ ভীষণ দৃঙ্গে পরিপূর্ণ গ্রামমধ্যে গমন কর সেখানেও শুনিতে পাইবে আবালবৃদ্ধবনিতার হৃদয়ত্তেী উচ্চ ক্ৰন্দন রোল আকাশ স্পর্শ করিতেছে। এইরূপ ভীষণ লোৰ্ধহর্ষণ দৃপ্ত সৰ্ব্বত্র প্রত্যক্ষ করিতে করিতে আমি মহানগরী কাইরোর দিকে গমন করিতে লাগিলাম। রণাস্তে সকলে কে কোথায় গমন করিয়াছে তাহার কিছুই ঠিক্‌ নাই । আমার সঙ্গিগণ জামাকে পরিত্যাগ করিয়া গিয়াছেন ; আমি আজ একাকী সশস্ত্রে অশ্বারোহণে গমন করিতেছি। আজ তিন দিবস কিছুই আহার জুটে নাই, কেবল পথিপার্শ্বস্থ বৃক্ষ হইতে কয়েকটা খর্জুর ও যুদ্ধের পরে ধে আহার সামগ্ৰী অবশিষ্ট ছিল তাহাই ভক্ষণ করিয়া একদিন গিয়াছে। দ্বিতীয় দিবস কোথাও কিছু পাই নাই, কেবল কর্দমাক্ত খালের জল পান করিয়া ক্ষুধা তৃষ্ণ নিবারণ করিয়াছি। আজি তৃতীয় দিন, এখনও কিছু আহার করিতে পাই নাই । স্বৰ্য্যদেৰ মধ্যাকাশ অতিক্রম করিয়াছেন,এখনও গ্রাম বা জনপদের দর্শন নাই। আমার অশ্বটী ক্রমাগত নিরাহারে ও বালুকাপূর্ণ পথ পৰ্য্যটনে নিতান্ত শ্ৰান্ত ও বীৰ্য্যহীন হইয় পড়িয়াছে ; এমন কি একটা পাও উঠাইতে তাহার বিশেষ কই বোধ হইতেছে। আমিও ক্ষুধায় আর কিছুই দেখিতে পাইতেছি না ; প্রাণ যেন দেহ পিঞ্জরে ছটফট করিতেছে, এখনি বাহির হইবে । মধ্যে মধ্যে আপন হইতেই চক্ষু মুন্ত্রিত হইতে লাগিল বোধ হইতে লাগিল, যেন আমার অন্তিম কাপ জযুৱৰীঃ