পাতা:মিষ্টান্ন-পাক.djvu/১২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
পঞ্চম পরিচ্ছেদ।
১১১

দাইল-বাটা, গোলমরীচ, জীরা, ধনে, এলাচ, লবঙ্গ, হিং এবং লবণ প্রভৃতি সমুদায় উপকরণ এক সঙ্গে ভাজিয়া লইবে। এখন, পূর্ব্ব-প্রস্তুত ময়দায় ছোট ছোট এক একটি ঠুলি প্রস্তুত কর, এবং তাহার মধ্যে পূর্ব্ব-রক্ষিত ভর্জ্জিত দাইলের পুর দিয়া মুখ আঁটিয়া দেও, এবং উহা ভাজিয়া লও।


সিঙ্গেড়া।

 চুরির ন্যায় সিঙ্গেড়ায় পুর দিতে হয়। কিন্তু ইহাতে দাইলের পূর না দিয়া, গোল-আলুর পূর দেওয়া আবশ্যক। আলুগুলি জলে সিদ্ধ করিয়া, তাহার খোসা ছাড়াইতে হয়। সুসিদ্ধ হইলে সেই আলুগুলি অল্প চট্‌কাইয়া, তাহাতে কালজীরা, মরীচ ও জয়িত্রীর গুঁড়া অথবা ছোট ছোট কুচা মিশাইতে হয়, আর এই সঙ্গে পরিমাণ মত লবণ মিশাইয়া লইলে, উহার আস্বাদ সমধিক উত্তম হইয়া থাকে। কিন্তু সচরাচর বাজারে যে সিঙ্গেড়া প্রস্তুত হয়, তাহাতে পূরের আলু কুটিয়া, ঘৃতে ভাজিয়া লওয়া হইয়া থাকে; তাহাতে কোন প্রকার মসলা দেওয়া হয় না।

 পুর প্রস্তুত করিয়া, ময়দায় লবণ ও ময়ান দিয়া, তাহা মাখিয়া লইবে। এখন সেই ময়দায় এক একটি গুটি কাটিবে; এবং তাহা অল্প বেলিয়া ছোট আকারের গোলাকার অর্থাৎ লুচির ন্যায় বেলিতে হইবে। পরে তাহা কাটিয়া দুই খানি করিবে। উহার একখানি লইয়া, তে-ভাঁজ করিয়া ঠোঙ্গা করিতে হইবে। অনন্তর তাহার মধ্যে পূর পূরিয়া জল-হাতে ঠুলির মুখ আঁটিয়া দিবে। এই গঠিত ঠোঙ্গা ঘৃতে ভাঙ্গিয়া লইলে, সিঙ্গেড়া ভাজা হইল। কচুরির ন্যায় ইহা-ও দমে ভাজিবে। সিঙ্গেড়া অর্থাৎ পানিফলের আকৃতি অনুসারে গঠিত হয় বলিয়া, এই খাদ্যের নাম সিঙ্গেড়া হইয়াছে।