পাতা:মিষ্টান্ন-পাক.djvu/১৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১১৮
মিষ্টান্ন-পাক।

থাক। পরে, তাহাতে অর্দ্ধেক দুগ্ধ মাখিয়া, দুই দণ্ড রাখিবে। এখন তাহাতে চিনি দিয়া দুই দণ্ড মর্দ্দন করিবে। অতঃপর, অবশিষ্ট দুগ্ধ ও পরিমাণমত জল দিয়া খুব দলিয়া লইবে। এখন উহা দ্বারা খেজুরের আকৃতি গঠন কর। এদিকে ঘৃত-সহ পাক-পাত্র জ্বালে চড়াও; এবং তাহাতে উহা বাদামী ধরণে ভাজিয়া লও। যদি উহাতে আবার দুগ্ধের সর আধপোয়া, দধি আধ ছটাক মিশাইয়া গরম করিয়া লও, তবে উহা ‘সন্তালিক খর্জ্জুরিকা’ তৈয়ার হইল।

টিকরসাহী।

 পকরণ ও পরিমাণ।—ময়দা তিন পোয়া, পোস্তবীজ-বাটা এক পোয়া, ঘৃত আধ সের, মরীচ আধ তোলা, দারুচিনি দুই আনা, দুগ্ধ এক পোয়া।

 প্রথমে ময়দায় আধ পোয়া ঘৃত ময়ান দিয়া বেশ করিয়া মাখিয়া লও। পরে গরম দুধ দিয়া তাহা দলিতে থাক। দুধ কম হইলে জল দিয়া ঠাসিতে থাক। এখন, তাহাতে আধ ছটাক পরিমাণ এক একটি লেচি পাকাও। অনন্তর এই লেচিতে কচুরি তৈয়ার করার ন্যায় ঠুলি কর। এদিকে পোস্তবীজ-বাটায় দারুচিনি-চূর্ণ এবং মরীচ-চূর্ণ মিশাইয়া, ঠুলির ভিতর পুর দিয়া মুখ বন্ধ কর। এখন তাহা কচুরি ভাজার ন্যায় ঘৃতে ভাজিয়া, একতার বন্দ চিনির রসে ডুবাইয়া লও। ভোক্তাগণ যদি টিকরসাহীর ভিতর পূর্ব্বোক্ত পূর না দিয়া, অন্য কোন সুখাদ্য দ্রব্যের পূর দিতে ইচ্ছা করেন, তবে তাহা-ও দিতে পারেন। আমরা পরীক্ষা করিয়া দেখিয়াছি ক্ষীর, বাদাম, পেস্তা বাটায় অল্প পরিমাণে গেলাপী আতর ও ছোট এলাচের আস্ত দানা এবং কিস্‌মিস্ এক সঙ্গে মিশাইয়া, তদ্দ্বারা পূর দিয়া টিকরসাহী তৈয়ার করিলে, তাহা অতি উপাদের মিষ্ট খাদ্য হইয়া থাকে।