পাতা:মিষ্টান্ন-পাক.djvu/১৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ।

 প্রথমে, দাইলু-চূর্ণে ঘৃত মাখিবে। পরে, কিঞ্চিৎ জল মিশাইয়া, দলা দলা করিবে, এবং কতকটা ঘৃত জ্বালে চড়াইয়া, তাহাতে ঐ দলাগুলি বাদামী রঙে ভাজিয়া লইবে। অনন্তর, ঘৃত হইতে তুলিয়া, তাহা কুটিয়া চূর্ণ করিবে। এখন, এই চূর্ণ এক ছটাক ঘৃতের সহিত মিশাইয়া, একবার ভাজিয়া লইবে। ভাজার পর, তাহাতে চিনির রস মিশাইয়া, লাড্ডু পাকাইবে।

কুমড়ার মিঠাই।

 দেশী অর্থাৎ সাঁচি কুমড়া দ্বারা মিঠাই প্রস্তুত করিতে হয়। মিঠাইয়ের পক্ষে পুরাতন কুমড়া-ই প্রশস্ত। যে কুমড়া পাকিয়া উঠিয়াছে, অর্থাৎ যাহার গায়ে সাদা সাদা খড়ি পড়িয়াছে, সেইরূপ কুমড়া-ই প্রশস্ত। কুমড়ার মিঠাই কেবল যে, খাদ্যের জন্য ব্যবহৃত হয়, এরূপ নহে। রক্তসম্বন্ধীয় পীড়ায় কুমড়ার মিঠাই পথ্য ও ঔষধের ন্যায় উপকারী। ত্বক্ অর্থাৎ খোসা ও বীজ-শূন্য এক সের কুমড়ার খণ্ডে লৌহ অথবা বাঁশের শলা দ্বারা ঘন ঘন ছিদ্র করিবে। এই ছিদ্র-বিশিষ্ট কুমড়ার খণ্ডগুলি, এক তোলা ফট্‌কিরি-চূর্ণ ও পাঁচ তোলা সবেদা জলে ভিজাইয়া, পরে তাহা ভাল জলে বেশ করিয়া ধুইয়া লইবে। এখন, সওয়া সের চিনির রস প্রস্তুত করিয়া, সেই রসে কুমড়ার খণ্ডগুলি দিয়া, জ্বালে চড়াইবে। জ্বালে রস উত্তমরূপ ঘন হইলে, আগুন হইতে নামাইবে এবং পাক-পাত্রের চারি ধারে কুমড়াগুলি তুলিয়া, পাখা দ্বারা বাতাস দিতে থাকিবে। অনন্তর, উহা তুলিয়া লইলে-ই কুমড়ার মিঠাই পাক হইল।