পাতা:মিষ্টান্ন-পাক.djvu/১৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৩৪
মিষ্টান্ন-পাক।

পুরু করিয়া বিস্তার করিয়া দিবে। কিছুক্ষণ এই থালাখানি ঢাকিয়া রাখিবে। যখন দেখিবে, উহা বেশ জমিয়া গিয়াছে, তখন বর্‌ফি কাটার ন্যায়, বাদামী ধরণে বড় বড় আকারে কাটিয়া লইলে-ই মতিপাক প্রস্তুত হইল। ইচ্ছা হইলে, উহা থালায় ঢালিবার সময়, তদুপরি পেস্তার (যেরূপ মাখনবড়াতে দিতে হয়) কুচি ছড়াইয়া দিতে পারা যায়। আবার যে নিয়মে বঁদে ভাজিয়া রসে ফেলিতে হয়, সেই সময় ঐ রসে জাফরাণ গুলিয়া, রঙ্ করিয়া লইলে-ও উত্তম পীতবর্ণের রঙ্, হইয়া থাকে।


পশ্‌ধারী মিঠাই।

 হিন্দুস্থানী হালুইকরগণ পশধারী মিঠাই প্রস্তুত করিয়া থাকে। ক্ষীর দ্বারা এই সুমিষ্ট খাদ্য প্রস্তুত হয়। প্রথমে খোয়াক্ষীর ভাঙ্গিয়া গুঁড়া করিতে হয়; তদনন্তর সূক্ষ্ম ছিদ্রবিশিষ্ট চালনিতে তাহা উত্তমরূপে চালিয়া লইবে। চালিয়া লইলে, ক্ষীরের ডেলা ভাঙ্গিয়া যাইবে। এই ক্ষীর মিঠাইয়ের উপযুক্ত হইল।

 এদিকে কাশীর কিংবা কলের চিনির রস প্রস্তুত করিবে। দেশী চিনি অপেক্ষা কলের চিনিতে খাদ্য-দ্রব্য সমধিক পরিষ্কৃত হইয়া থাকে। আজ কাল বিটপালঙের চিনি অধিক পরিমাণে ব্যবহৃত হইতেছে। অন্যান্য দেশী চিনি অপেক্ষা এই চিনির মিষ্টতা তত তীব্র নহে। কিন্তু বিটপালঙের চিনিতে যে খাদ্য-দ্রব্য প্রস্তুত হয়, বাসী হইলে তৎসমুদায়ের বর্ণ ঈষৎ নীলাভ হইয়া থাকে। অতএব ভাল রকম চিনির সাড়ে তিন বন্দের রস প্রস্তুত করিবে। এই রস জ্বাল হইতে নামাইলে, জমিয়া দানাদার হইবে। এই দানাদার ঝুরা চিনি চালিয়া লইয়া, তাহাতে পরিমান-মত গোলাপী আতর মিশাইবে। এখন পূর্ব্ব-প্রস্তুত ক্ষীরের