ছানাবড়া।
পান্তোয়ার ন্যায় ছানাবড়া পাক করিতে হয়। প্রথমে ছানার জল বাহির করিবে। তদনন্তর তাহাতে খাসা মিশাইবে। এক সের ছানায় পাঁচ ছটাক পর্য্যন্ত খাসা মিশাইতে দেখা যায়। ছানা ও খাসা বেশ করিয়া চট্কাইয়া, তদ্দ্বারা এক একটি গোলাকার তৈয়ার করিবে, অর্থাৎ সচরাচর যেরূপ আকারে ছানাবড়া প্রস্তুত হইয়া থাকে, সেইরূপ আকারে গড়াইবে। এই গঠিত ছানাবড়া লাল্ছে ধরণে ঘৃতে ভাজিয়া, চিনির রসে ফেলিয়া প্রস্তুত করিলে-ই ছানাবড়া পাক হইল। রস হইতে তুলিয়া, উহার উপর দানাদার চিনি ছড়াইয়া দিলে, মিছ্রির বুকনির ন্যায় বোধ হইবে। আবার অন্য রকম ভাগ পরিমাণে-ও ছানাবড়া তৈয়ার করা যাইতে পারে। অর্থাৎ ছয় আনা ছানা এবং দশ আনা-পরিমাণ সবেদা, এক সঙ্গে উত্তমরূপে মিশাইয়া, ছানাবড়া প্রস্তুত করিয়া, চিনির রসে পাক করিয়া লইলে-ই, ছানাবড়া পাক হইল।
লেডিক্যাণিং।
এক সের ছানায় যদি লেডিক্যাণিং তৈয়ার করিতে হয়, তবে এক পোয়া সুজিতে ময়ান দিয়া, ছানার সহিত উত্তমরূপে মিশ্রিত করিবে। অগ্রে ছানার জল বাহির করিবে। ছানায় জল থাকিলে উহা ভাঙ্গিয়া যাইবে। লেডিক্যাণিং আর ছানাবড়া পাক প্রায় এক-ই প্রকার। লেডিক্যাণিং-অত্যন্ত বড় করিয়া গড়াইতে হয়। ফলতঃ, আকার-গত প্রভেদের সহিত আস্বাদের কোন সম্বন্ধ নাই। পূর্ব্বে যে ছানা ও সুজি তৈয়ার করা হইয়াছে, তদ্দ্বারা লেডিক্যাণিং তৈয়ার করিয়া, ছানাবড়ার ন্যায় পাক