পাতা:মিষ্টান্ন-পাক.djvu/১৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৬২
মিষ্টান্ন-পাক।

কাঁচা কলার বর্‌ফি

 পকরণ ও পরিমাণ।—কাঁচা কলা (ত্বক্-রহিত) এক সের, ক্ষীর এক পোয়া, জায়ফলের চূর্ণ এক তোলা, জয়িত্রী-চূর্ণ এক তোলা, চিনির রস দেড় সের।

 প্রথমে কলার খোসা ছাড়াইয়া, পাতলা ধরণে কুটিয়া শীতল জলে রাখিবে। পরে তাহা জল হইতে তুলিয়া, ঘৃতে বাদামী ধরণে ভাজিয়া নামাইবে। এখন এই ভর্জ্জিত কলা উত্তমরূপ বাটিয়া মোমের মত করিবে। পরে তাহাতে সমুদায় ক্ষীর বেশ করিয়া মিশাইয়া লইবে।

 এদিকে পাক-পাত্র জ্বালে চড়াইয়া, তাহাতে ঘৃত ঢালিয়া দিবে এবং উহা পাকিয়া আসিলে, তাহাতে ক্ষীর-মিশ্রিত কদলী ঢালিয়া দিয়া নাড়িতে থাকিবে। এই সময় তাহাতে জয়িফল ও জয়িত্রী-চূর্ণ ছড়াইয়া দিবে। অনন্তর, দেড় সের পরিমিত চিনির রস ঢালিয়া, ধীরে ধীরে নাড়িতে চাড়িতে থাকিবে। জ্বালে উহা বেশ ঘন হইয়া, কাদার ন্যায় মিশ্রিত হইয়া আসিলে, জ্বাল হইতে নামাইবে। এখন পাক-পাত্র হইতে উহা তুলিয়া অন্য আর একটি পাত্রে ঢালিয়া রাখিবে। এই সময় একটি কথা মনে রাখিবে, যে পাত্রে উহা ঢালা হইবে, অগ্রে তাহাতে সামান্যরূপ ঘৃত মাখাইয়া ঢালিলে ভাল হয়। কারণ, নিম্নে ঘৃত থাকিলে, বর্‌ফি তুলিবার সময় তাহা ভাঙ্গিয়া যাইবে না। ঘৃতাক্ত পাত্রে উহা নামাইয়া রাখিলে, বাতাসে জমাট বাঁধিয়া কঠিন হইয়া উঠিবে। তখন তাহা ইচ্ছানুসারে বর্‌ফির আকারে কাটিয়া লইলে-ই কলার বর্‌ফি প্রস্তুত হইল। কেহ কেহ আবার অপেক্ষাকৃত সুস্বাদু করিবার জন্য, উহার সঙ্গে আর-ও নানাবিধ উপকরণ মিশাইয়া থাকেন। আমরা পরীক্ষা করিয়া দেখিয়াছি, কেবলমাত্র গন্ধ-মসলা-চূর্ণ না দিয়া, ঘৃতাক্ত পাত্রে ঢালিবার সময়, তাহাতে দুই এক ফোঁটা গোলাপী আতর দিলে, অতি