পাতা:মিষ্টান্ন-পাক.djvu/১৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
নবম পরিচ্ছেদ।
১৭১

কাটি এক সঙ্গে জ্বালিয়া, উহার মুখের ভিতর ধরিবে; এরূপ তৎপরতার সহিত উক্ত পাত্রের মুখে দুই তিনবার দেশলাইয়ের কাটি জ্বালিয়া ধরিলে, তন্মধ্যস্থ বাতাস বাহির হইয়া যাইবে। বাতাস বাহির হইয়া যাইবার পূর্ব্বে-ই, পাত্রে যে পরিমাণে ফল ধরিতে পারে, তৎপরিমাণ ফল দ্বারা পাত্রটি পূর্ণ করিবে; পাত্রস্থ বাতাস বাহির হইয়া যাইবার পূর্ব্বে-ই, অত্যন্ত ক্ষিপ্র-হস্তে ফল পূরিবার কাজ শেষ করা আবশ্যক; নতুবা ভিতরের বাতাস বাহির হইয়া গেলে, ফল পচিয়া যাইবার সম্ভাবনা। এইরূপে ফলগুলি পূর্ণ করিয়া, নূতন এয়ার-টাইট, (বাতাস ঢুকিতে না পারে) ছিপি দ্বারা পাত্রের মুখ বন্ধ করিয়া দিবে। অনন্তর, ধূনার আঠা প্রস্তুত করিয়া, তাহা ছিপির চারি পাশে উত্তমরূপ লাগাইয়া দিবে; এইরূপ আঁটিবার উদ্দেশ্য এই যে, বাহিরের বাতাস আদৌ পাত্র-মধ্যে প্রবেশ করিতে পারিবে না। অনন্তর, রাত্রিকালে রন্ধনের পর, উনান হইতে আগুন বাহির করিয়া, বোতলে তাপ সহ্য হয়, এইরূপ উত্তাপে উনানের মধ্যে ফল-পূর্ণ কাচ-পাত্র রাখিয়া দিবে। উনানে উত্তাপ অধিক থাকিলে, পাত্র ফাটিয়া যাইবার সম্ভাবনা। লিখিত নিয়মে রাখিতে পারিলে, এক বৎসর পর্য্যন্ত ফল টাট্‌কা রাখা যাইতে পারে।

 অধিক দিন পর্য্যন্ত অবিকৃত ভাবে ফল রাখিবার যে যে নিয়ম আছে, তন্মধ্যে লিখিত নিয়ম-ই সর্ব্বাপেক্ষা সহজ। ফলের বোতল বা জার এরূপ স্থানে রাখা আবশ্যক, যে স্থানে আদৌ ঠাণ্ডা লাগিতে না পায়।

আদার মোরব্বা।

 পকরণ ও পরিমাণ—ত্বক্-রহিত আদা এক সের, পাথুরে চূণ পাঁচ-তোলা, জামের (কালজামের) পাতা ছেঁচা পাঁচ তোলা, গোলাপজল এক তোলা এবং চিনির রস এক সের।