পাতা:মিষ্টান্ন-পাক.djvu/২১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দশম পরিচ্ছেদ।
২০৩

প্রভৃতির চন্দ্রের আকারের ন্যায় প্রস্তুত করিতে থাকিবে। অনন্তর, উহা কলাপাতা হইতে বাহির করিয়া কঠিন না হওয়া পর্য্যন্ত, অন্য একটি পাত্রে তুলিয়া রাখিবে।

চন্দ্রপুলি।

 প্রথমে এক পোয়া নারিকেল-কুরা একখানি কাপড়ে পুঁটলি করিয়া তাহার দুধ গালিয়া ফেলিবে। অনন্তর, তাহা খিচ-শূন্য অর্থাৎ ক্ষীরের মত করিয়া বাটিয়া লইবে। এখন একখানি কড়া কিংবা খুলিতে আড়াই পোয়া চিনির রসে, নারিকেল-বাটা মিশাইয়া জ্বালে চড়াইবে, জ্বালের অবস্থায় তাড়ু দ্বারা সর্ব্বদা নাড়িতে থাকিবে। কারণ, যত রস মরিয়া আসিবে, তত ধরিয়া বা আঁকিয়া যাইবার সম্ভাবনা। উহা আঁকিয়া গেলে, এক প্রকার দুর্গন্ধ নির্গত হয় এবং আহারে অত্যন্ত বিস্বাদু হইয়া থাকে। জ্বালে যখন দেখিবে, উহা কাদা কাদা হইয়াছে, এবং আঙুলে করিয়া দেখিলে চিট-ধরা বোধ হইবে, তখন জ্বাল হইতে নামাইয়া, পাক-পাত্রটি একটি বিঁড়ার উপর রাখিবে। এই সময় অনবরত নাড়িতে থাকিবে। নাড়িতে নাড়িতে যখন দেখিবে, পাক আঁটিয়া আসিয়াছে, তখন পাক-পাত্র হইতে উহা একখানি বারকোস অথবা থালায় তুলিয়া লইবে। অনন্তর, পরিমাণ-মত ছোট এলাচের গুঁড়া মিশাইয়া, বেশ করিয়া চট্‌কাইয়া লইবে। পরে এক একটি গুটি কাটিয়া, চন্দ্রপুলির ছাঁচে ঐ গুটি ঘুরাইয়া ঘুরাইয়া চাপিতে থাকিবে। এখন ছাঁচ খুলিয়া বাহির করিলে-ই, চন্দ্রপুলি প্রস্তুত হইল। অনন্তর, উহা থালায় সাজাইয়া রাখ।