পাতা:মিষ্টান্ন-পাক.djvu/২১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২০৪
মিষ্টান্ন-পাক।

গোলাপজাম।

 ধ সের ছানায় এক ছটাক হইতে এক পোয়া পর্য্যন্ত সবেদা মিশাইয়া উত্তমরূপে চট্‌কাইবে। এখন, এই চট্‌কান ছানায় এক একটি গোলাপজাম গঠন করিবে। সমুদায়গুলি গঠিত হইলে, চিনির রস জ্বালে চড়াইবে এবং উহা ফুটিয়া আসিলে, তাহাতে এক একটি করিয়া ছাড়িয়া দিবে। জ্বালে শক্ত হইয়া লাল আভা দিলে নামাইবে। অনন্তর, রস হইতে তুলিয়া দোবোরা চিনি মাখাইয়া যখন দেখিবে, বেশ শীতল হইয়াছে এবং চিনির দানা মিছ্‌রির বুক্‌নির ন্যায় উহার গায়ে লাগিয়া গিয়াছে, তখন জানিবে গোলাপজাম প্রস্তুত হইল।

গুজিয়া।

 পকরণ ও পরিমাণ—ক্ষীর এক সের, দোবোরা চিনি এক সের, মিছ্‌রি তিন ছটাক, ছোট এলাচ-চূর্ণ এক তোলা, পেস্তা এক ছটাক, বাদাম এক ছটাক, জাফরাণ অল্প পরিমাণ।

 প্রথমে একটি পাক-পাত্রে ক্ষীর ও দোবোরা চিনি এক সঙ্গে মিশাইয়া অল্প উত্তাপে ভাজিবে। ভাজার সময় উপরে হাত দিলে যখন দেখা যাইবে যে, ক্ষীর আর হাতে জড়াইয়া লাগে না, তখন তাহা নামাইয়া মিছরি, ছোট এলাচ-চূর্ণ এবং পেস্তা ও বাদাম বাটা কিছু রাখিয়া, অবশিষ্ট ঐ ভর্জ্জিত ক্ষীরের সহিত উত্তমরূপ চট্‌কাইয়া, ছোট ছোট আকারে পাতলা লুচির ন্যায় তৈয়ার করিবে এবং তন্মধ্যে রক্ষিত ক্ষীরের পুর দিয়া দুইটি ভাঁজ করত, কিনারা আঁটিয়া মুড়িয়া দিবে। অনন্তর, এক সের চিনির একতার বন্দ রসে কিছু জাফরাণ দিয়া পাক করিবে। এখন এই রসে ঐ গুজিয়া-