কেরা চাষে চিনা করিয়া, অতি আমোদের সহিত পায়স পাক করিয়া খাইয়া থাকে। চিনার মূল্য অতি শস্তা। ভুরার পায়সের ন্যায় পাক করিতে হয়।
বজরার পায়স।
এই শস্য বিহার প্রভৃতি পশ্চিমাঞ্চলে প্রচুর উৎপন্ন হইয়া থাকে। তথাকার লোকেরা অতি আমোদের সহিত বজরার অন্ন এবং পায়স রাঁধিয়া আহার করিয়া থাকে। চিনা প্রভৃতির ন্যায় বজরার পায়স পাক করিতে হয়। রুচি-ভেদে উহার আদর দেখিতে পাওয়া যায়।
খেজুর রসের পায়স।
প্রথমে খেজুর রস জ্বালে চড়াইয়া খুব জ্বাল দিতে হয়। জ্বালের অবস্থায় উহার উপর ফেনা উঠিতে থাকে। ফেনা কাটিয়া বা তুলিয়া ফেলিতে হয়। ফেনা উঠার পর সরিষা ফুলের ন্যায় রসের ফুট উঠিতে থাকে, এই সময় উহাতে চাউল ফেলিয়া দিতে হয়। চাউল অর্দ্ধ-সিদ্ধ হইলে, দুধ ঢালিয়া দিয়া মধ্যে মধ্যে নাড়িতে হয়। কেহ কেহ আবার আদৌ দুধ না দিয়া, কেবলমাত্র রসে পাক করিয়া থাকেন; কিন্তু দুধ না দিলে আম্বাদ ভাল হয় না, রসের পায়সে অল্প পরিমাণে গুড় দিতে হয়। খেজুর রসের ন্যায় ইক্ষুরস দ্বারা-ও পায়স প্রস্তুত হইয়া থাকে।