পাটি সাপ্টা
এই পিষ্টক অতি মুখ-প্রিয়। প্রথমে টাট্কা মিহি ময়দা ও চিনি দুধে গুলিয়া লইবে। উহা যেন অতিশয় পাতলা কিংবা খুব গাঢ় না হয়। সরুচাক্লির গোলা যে রকম করিতে হয়, উহা-ও যেন ঠিক সেইরূপ হয়। এ দিকে ক্ষীর, নেওয়াপাতি নারিকেল, বাদাম এবং পেস্তা এক সঙ্গে বাটিয়া লইবে। অল্প পরিমাণে ঘৃত জ্বালে চড়াইয়া, তাহা পাকিয়া আসিলে, তাহাতে ছোট এলাচের দানা ছাড়িয়া, উহা চালিয়া দিয়া, খুন্তি দ্বারা নাড়িতে চাড়িতে থাকিবে। অনন্তর, উহা নামাইয়া গোলাপী আতর ঐ ক্ষীরের সঙ্গে মিশাইবে।
এখন একখানি পাথর কিংবা ভাওয়া মৃদু জ্বালে চড়াইয়া গরম করিবে এবং তাহাতে অল্প পরিমাণ ঘৃত চড়াইয়া, তাহার উপর পূর্ব্ব-রক্ষিত দুধের গোলা ঢালিয়া দিবে। উহা ঢালিয়া দ্বিয়া-ই, তালপাতা দ্বারা তাহা সরুচাক্লির ন্যায় পাত্রময় গোলভাবে বিস্তার করিয়া দিবে। এই সময় একটি কথা মনে রাখা উচিত যে, ঐ গোলা একখানি তিজেল কিংবা কড়াতে পাক করিলে, গোলভাবে বিস্তার করিবার সুবিধা হইতে পারে। অনন্তর, জ্বালে উহা কঠিন অর্থাৎ সরু চাক্লির ন্যায় হইয়া উঠিবে। এখন খুন্তি করিয়া উহা পাক-পাত্র হইতে ছাড়াইয়া তুলিয়া লইবে। পরে তাহাতে এক ঝিনুক (অর্থাৎ এক চাম্চা) পরিমিত প্রস্তুত করা ক্ষীর অথবা ছাঁই[১] তাহার একধারে লম্বা ভাবে রাথিয়া, পিষ্টকথানি খুন্তি দ্বারা লম্বাভাবে জাড়াইতে থাকিবে। জড়ান হইলে, তখন পাক-পাত্রে অল্প পরিমাণে ঘৃত
- ↑ খোসা-তোলা তিল কিংবা নারিকেল-কুরা চিনির রস অথবা গুড়ে পাক করিয়া, কাদা কাদা আকারে পরিণত হইলে ছাঁই প্রস্তুত হইল।