পাতা:মিষ্টান্ন-পাক.djvu/২৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
একাদশ পরিচ্ছেদ॥
২৩৫

লাল-আলুর পিষ্টক।

 প্রথমে লাল আলু জলে সিদ্ধ করিয়া লইবে। পরে খোসা ছাড়াইয়া শাঁস বাহির করিবে। এখন তাহাতে অল্প পরিমাণ ময়দা চট্কাইলে, উহা মোমের ন্যায় হইবে। এই মোমবৎ পদার্থ লইয়া এক একটি লেচি প্রস্তুত করিবে এবং ক্ষীর, ছোট এলাচের দানা, বাদাম কিংবা পেস্তা বাটা, আর যদি সুবিধা হয় তবে পরিমাণ বুঝিয়া দুই এক ফোটা গোলাপী আতর মিশাইয়া মাখিবে এবং তাহার অল্প অল্প লইয়া, পূর্ব্ব প্রস্তুত লেচির মধ্যে পূর দিয়া, হয় রসগোল্লার ন্যায় অথবা ইচ্ছা-মত অন্য প্রকার আকারে গড়াইয়া ঘৃতে ভাজিয়া লইবে। এই ভর্জ্জিত পিষ্টক ক্ষীরে ডুবাইয়া আহার করিলে-ও চলিবে, কিংবা উহা চিনির রসে পাক করিয়া লইলে-ও অতি সুখাদ্য হইবে।

গোকুল-পিটা।

 পাটি সাপ্টার ন্যায় এই পিটা অতি সুখাদ্য; যত প্রকার পিটা আছে, তন্মধ্যে পাটিসাপ্টা ও গোকুল-পিটা-ই অতি উপাদেয়। গোকুলপিটা প্রস্তুত করিতে হইলে, প্রথমে দুধ ও ময়দা ঘন করিয়া গুলিয়া লইবে। কেহ কেহ ময়দার অভাবে চাউলের গুঁড়ি জলে গুলিয়া প্রস্তুত করিয়া থাকেন। কিন্তু চাউল-গুঁড়ায় প্রস্তুত করিলে, তত সুখাদ্য হয় না। এজন্য ময়দা ও দুধে প্রস্তুত করা-ই প্রশস্ত। ময়দা-মিশ্রিত গোলাতে পরিমাণ-মত চিনি মিশ্রিত করিবে। ময়দায় চিনি মিশাইলে তাহা পাতলা হইয়া থাকে; এজন্য প্রথমে চিনি না মিশাইয়া, পরে চিনির রস ব্যবহার