পাতা:মিষ্টান্ন-পাক.djvu/২৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৩৬
মিষ্টান্ন-পাক

করিলে ভাল হয়। এ দিকে শক্ত-গোছের ক্ষীর লইয়া, তাহাতে ছোট্ট এলাচের দানা মিশাইবে। এখন কচুরির আকার পরিমাণ ক্ষীরের[১] এক একখানি চাক্তি প্রস্তুত করিয়া, পূর্ব্বোক্ত গোলাতে ডুবাইয়া ঘৃতে ভাঙ্গিয়া লইবে। ডাজিবার সময় যে, উহার দুই পিঠ উল্টাইয়া দিতে হয়, তাহা বোধ হয় সকলে-ই বুঝিতে পারেন। এখন এই ভর্জ্জিত পিষ্টক চিনির রসে ডুবাইয়া, তুলিয়া লইলে-ই গোকুল-পিটা পাক হইল। গোকুলপিটার গোলা প্রস্তুত করা-ই একটু কঠিন। অর্থাৎ উহা খুব খন কিংবা পাতলা না হয়; এই উভয় প্রকারের মাঝামাঝি গোছের গোলা হইলে-ই ঠিক উপযুক্ত হইবে।

মুগের ভাজা পিটা।

 ভাজা মুগের দাইল সিদ্ধ করিয়া লইবে। পরে তাহাতে ময়দা মিশাইয়া মাথিয়া লইবে। বেশ আটা আটা হইলে, তাহা চট্‌কাইয়া পুলিপিটার আকারে গঠন করিবে এবং তাহার মধ্যে নারিকেলের ছাই পূর দিয়া, যোড়ের মুখ আঁটিয়া দিবে। এখন এই গঠিত পিটাগুলি তৈল অথবা ঘৃতে ভাজিয়া লইবে। পুলির আকারে গঠন না করিয়া চৌকা অথবা অন্য কোন আকারে গঠন করিতে-ও পারা যায়।

রসনা-রঞ্জন।

 প্রথমে আলুগুলি জলে সিদ্ধ করিয়া লইবে এবং ঠাণ্ডা হইলে

  1. ক্ষীরের স্নহিত কোমল নারিকেল, বাদাম পেস্তা-বাটা এবং দুই এক বিন্দু গোলাপী আতর মিশ্রিত করিলে, আস্বাদন অতি উপাদেয় হইয়া থাকে।