পাতা:মিষ্টান্ন-পাক.djvu/২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১২
মিষ্টান্ন-পাক।

পক্ষে, শিশুর বয়স অপেক্ষা, গাভীর বৎসের বয়স অল্প হইলে-ই ভাল হয়। অর্থাৎ যে গাভী দুই মাস প্রসূত হইয়াছে, তাহার দুধ চারি মাসের শিশুর পক্ষে বিশেষ উপকারী। প্রথম দোহন করা দুধ অপেক্ষা, শেষের দোহন করা দুধের মাটা অধিক। প্রাতঃকালের দুধ অপেক্ষা, অপরাহ্ণের দুধে অধিক নবনীত পাওয়া যায়। গাভীর আহার-ভেদে-ও দুধের বিলক্ষণ তারতম্য হইয়া থাকে। জঘন্য আহারে দুধের গুণ একেবারে হ্রাস করিয়া ফেলে। পলাণ্ডু, লশুন প্রভৃতি উগ্র উদ্ভিদে দুধে দুর্গন্ধ করে। বিষাক্ত উদ্ভিদ্ আহারে দুধ অনিষ্ট-জনক হয়; উৎকৃষ্ট দুধ পাইতে হইলে, গাভীকে সতেজ-তৃণ-পূর্ণ গোষ্ঠে চারণ করা-ই কর্ত্তব্য।

 আর্য্যেরা সকল জন্তুর দুগ্ধ পরীক্ষা করিয়া গিয়াছেন। দুগ্ধ বিষয়ে আর্য্যেরা কিরূপ পরীক্ষা করিয়াছেন, কোন জন্তুর দুধের কিরূপ গুণ—তাঁহারা কিরূপে বিবৃত করিয়া গিয়াছেন, তাহা নিম্নে লিখিত হইল।

 দুধমাত্রে-ই স্বাদু, স্নিগ্ধ, তেজস্কর, ধাতু-বর্দ্ধক, বাত-পিত্ত-হর, শুক্র-বৃদ্ধি-কর, শীতল, শ্লেষ্মকর এবং গুরু। এই গেল দুধমাত্রের-ই সাধারণ ধর্ম্ম। তাহার পর কোন্ জন্তুর দুধে কিরূপ গুণ আছে, তাহার পরিচয় দিতেছি।

 গোদুগ্ধ। —প্রাণ-ধারক, বল-কর, গুরুত্ব-কর, শুক্র-কর, মেধ্য অর্থাৎ বিশুদ্ধ, রক্তপিত্তরোগ-নাশক, এবং বায়ু-নিবারক।

 ছাগীদুগ্ধ।—মধুর, শীতল, মল-বর্দ্ধক, অগ্নি-কর, রক্তপিত্ত, বিকার ও শ্বাস-কাস-নাশক।

 মেষীদুগ্ধ।—গুরু, স্বাদু, স্নিগ্ধ, উষ্ণ, কফ-পিত্ত-নাশক।

 মহিষীদুগ্ধ।—অতি-স্নিগ্ধ, নিদ্রা-কর, অগ্নি-নাশক।

 উষ্ট্রীদুগ্ধ।—রুক্ষ, উষ্ণ, শোথ, বাত এবং কফ-নাশক।