থাকে। ফলতঃ, অধিক পরিমাণে বাটিয়া তাহাতে জল, দুধ, চিনি, গোলাপ-জল, কেওড়া এবং বরফ মিশাইয়া লইলে, উহাতে অতি উপাদেয় সরবত প্রস্তুত হইয়া থাকে। সিদ্ধির সরবত অধিক পাতলা করিয়া লইতে হয়। ইহা অধিক পরিমাণে সেবন করা উচিত নহে; কারণ তদ্দ্বারা মাদকতা-শক্তি বৃদ্ধি পাইয়া থাকে। সিদ্ধি অনেক প্রকায় ঔষধে ব্যবস্থা হইয়া থাকে। সুতরাং চিকিৎসকের ব্যবস্থা ভিন্ন সুস্থ শরীরে উহা ব্যবহার না করা-ই ভাল।
বাদামের সরবত।
দেড় ছটাক বাদাম চূর্ণ করিয়া, তিন পোয়া দুগ্ধ, অথবা তিন পোয়া জল, কিছু কমলালেবুর খোসা-সহ জ্বালে চড়াও। অনন্তর, তাহাতে পরিমাণ মত চিনি ও গোলাপ জল মিশ্রিত কর। ফেনা উঠিলে কাটিয়া ফেল। জাল হইতে পাত্রটি নামাইয়া ঠাণ্ডা কর। এখন উহা বোতলে পূরিয়া রাখ।
তেঁতুলের পানীয়।
শীতল জলে তেঁতুল ভিজাইয়া রাখ। পরে ঐ জল-সহ পাত্রটি জ্বালে পঁয়তাল্লিশ মিনিট সিদ্ধ কর, এবং জ্বাল হুইতে নামাইয়া ছাঁকিয়া লও। এখন এই রসে পরিমাণ-মত চিনি মিশাইয়া, পুনর্ব্বার কুড়ি মিনিট সিদ্ধ কর। অনন্তর, উহা বোতলে পুরিয়া, মুখ বন্ধ করিয়া রাখ।