হরিদ্রাংশ ও শ্বেত্তাংশ পৃথক দুইটি পাত্রে পৃথক্ করিয়া রাখ। যে পাত্রে হরিদ্রাংশ থাকিবে, তাহাতে চিনি দিয়া বেশ করিয়া মিলাইয়া লও। যখন বেশ মিশান হইবে, তখন তাহাতে গোলাপ-জল ও লেবুর রস দিয়া আবার ভাল করিয়া মিশ্রিত কর। এদিকে মাখন গরম করিয়া তাহা ময়দাতে মাথাও। অনন্তর, তাহাতে ডিমের সাদা অংশ দিয়া উত্তমরূপ মিশাও। পরে চিনি-মিশ্রিত ডিমের হরিদ্রাংশ এই ময়দায় একত্রিত কর।উভয় দ্রব্য এক সঙ্গে যেন উত্তমরূপ মাখা-মাখা হয়। এদিকে পূর্ব্বোক্ত দ্রব্যের পরিমাণ-মত অর্থাৎ ঐ সকল দ্রব্য উত্তমরূপ ধরিতে পারে, এমন একটি টিনের ঠোঙার ন্যায় পাত্র-মধ্যে বেশ করিয়া মাখন মাখাইয়া, তাহাতে ঐ সকল দ্রব্য পূর্ণ কর এবং একটি ঢাকনি দ্বারা তাহার মুখ ঢাকিয়া রাখ। অনন্তর, পাত্রটি জ্বলন্ত অঙ্গারের উপর বসাইয়া দিয়া, মধ্যে মধ্যে উল্টাইয়া দাও। আন্দাজ আধ ঘণ্টা পরে নামাইয়া লইলে, কেক্ তৈয়ার হইবে।
পর্টুগিজ বিবিঙ্কা ডোসি।
উপকরণ ও পরিমাণ। ~একতারবন্দ চিনির রস দেড় পোঁয়া, ময়দা বা সবেদা (চাউলের গুঁড়া) এক পোয়া, ছুইটা নারিকেলের দুগ্ধ, মাথন বা ঘৃত আধ পোয়াঁ। প্রথমে চিনির রসে সবেদা ও নারিকেলের দুধ মিশাইয়া মৃদু জ্বালে পাক কর। অল্পক্ষণ জ্বাল পাইলে যখন দেখিবে, এক রকম গাঢ় হইয়া আসিয়াছে, তখন তাহা উনান হইতে নামাও। এদিকে একখানি পিতলের কড়ার মাখন বা ঘৃত জ্বালে চড়াও। এবং যখন দেখিবে যে,
১৮