উহার গাঁজা মরিয়া আসিয়াছে, তখন তাহাতে পূর্ব্ব-প্রস্তুত দ্রব্য ঢালিয়া দিয়া, নাড়িয়া দিতে থাক। এইরূপ অবস্থায় অল্পক্ষণ নাড়িতে নাড়িতে, উহা মোহনভোগের ধরণে গাঢ় হইয়া আসিবে। তখন তাহা খাদ্যের উপযুক্ত বিবিঙ্কা-ডোসি প্রস্তুত হইল জানিবে, সুতরাং আর জালে না রাখিয়া, নামাইয়া লও এবং শীতল হইলে আহার করিয়া দেখ, পর্টুগিজদিগের এই খাদ্য কিরূপ সুখাদ্য। যদি কেহ উহা অপেক্ষাকৃত সুস্বাদু করিতে ইচ্ছা করেন, তাহা হইলে সবেদার পরিবর্ত্তে সুজি এবং বাদাম, পেস্তা ও কিমিস্ দিয়া-ও পাক করিতে পারেন।
ডিমের জিলিপি।
উপকরণ ও পরিমাণ। —ডিম বারটা, ঘৃত আবশ্যক-মত, চিনির রস পাঁচ ছটাক, লেবুর রস এক পোয়া, ছোট এলাচ-চূর্ণ দুই আনা, দারুচিনি-চূর্ণ দুই আনা, লবঙ্গ-চূর্ণ দুই আনা, জাফরাণ এক আনা, লবণ এক আনা। প্রথমে ডিমগুলি ভাঙ্গিয়া তাহার মধ্যস্থ হরিদ্রাংশ একটি পাত্রে রাখিতে হইবে। এই হরিদ্রাংশের মধ্যে যেন ডিমের খোলার কুচি কিংবা সূত্রবৎ কোন পদার্থ না থাকে। অনেকে ডিমের শ্বেতাংশ ফেলিয়া না দিয়া, ঐ হরিদ্রাংশের সঙ্গে মিশ্রিত করিয়া-ও, জিলিপি তৈয়ার করিয়া থাকেন, কিন্তু তাহা তত সুখাদ্য হয় না। যদি কেহ শ্বেতাংশ লইয়া, জিলিপি তৈয়ার করিতে ইচ্ছা করেন, তাহা হইলে উপকরণ ও পরিমাণ: অধিক করিয়া লইতে হয়। অনন্তর, মসলাগুলি এবং লবণ ঐ হরিদ্রাংশে মিশাইয় চামচা দ্বারা অনবরত নাড়িবে। যখন দেখা যাইবে, উহা উত্তমরূপ মিশিয়া গিয়াছে, তখন একটি প্রস্তর, কাচ অথবা মৃত্তিকা-পাত্রে একথানি মোটা অথচ শক্ত নেকড়া পাতিয়া তাহার উপর ঐ তরল পদার্থ ঢালিবে।