পাতা:মিষ্টান্ন-পাক.djvu/২৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ত্রয়োদশ পরিচ্ছেদ।
২৮১

ছড়াইয়া দিবেন অনন্তর, দেড় সের পরিমিত চিনির রস ঢালিয়া দিয়া, ধীরে ধীরে নাড়িতে চাড়িতে থাকিবে। জ্বালে উহা বেশ ঘন হইয়া, কাদার ন্যায় মিশ্রিত হইয়া আসিলে, তাহা জ্বাল হইতে নামাইবে। এখন পাক-পাত্র হইতে উহা তুলিয়া, আর অন্য একটি পাত্রে ঢালিয়া রাখিবে এই সময় একটি কথা মনে রাখিতে হইবে, অর্থাৎ যে পাত্রে উহা ঢালা হইবে, অগ্রে তাহাতে সামান্যরূপ ঘৃত মাখাইয়া ঢালিলে ভাল হয়। কারণ, নিম্নে ঘৃত থাকিলে, বরফি তুলিবার সময় তাহা ভাঙ্গিয়া যাইবে না। ঘৃতাক্ত পাত্রে উহা নামাইয়া রাখিলে, বাতাসে জমাট বাঁধিয়া কঠিন হইয়া উঠিবে। তখন তাহা ইচ্ছানুসারে বরফির আকারে কাটিয়া লইলে-ই, কলার বরফি প্রস্তুত হইল। কেহ কেহ আবার অপেক্ষাকৃত সুস্বাদু করিবার জন্য, উহার সঙ্গে আর-ও নানাবিধ উপকরণ মিশাইয়া থাকেন। আমরা পরীক্ষা করিয়া দেখিয়াছি, কেবলমাত্র গন্ধ মসলা-চূর্ণ না দিয়া, ঘৃতাক্ত-পাত্রে ঢালিবার সময় তাহাতে দুই এক ফোঁটা গোলাপী আতর দিলে, অতি উপাদেয় হইয়া উঠে। আর বাদাম ও পেস্তা পাতলা ধরণে কুচি কুচি করিয়া, বরফির উপরে ছড়াইয়া দিলে, অপেক্ষাকৃত রুচিকর হইয়া থাকে।

মন্থালমান।

 হাও এক-প্রকার অতি উপাদেয় রসনা-তৃপ্তিকর সুমিষ্ট খাদ্য। পশ্চিম প্রদেশে এই খাদ্য অতি উৎকৃষ্টরূপ হইয়া থাকে।

 উপকরণ ও পরিমাণ। —মুগের দাইল-চূর্ণ এক সেৱ, ক্ষীর এক পোয়া, বাদাম এক ছটাক, পেস্তা এক ছটাক, কিম্‌মিস্ এক ছটাক, জাফরাণ-গুঁড়া আধ তোলা, ছোট এলাচ-চূর্ণ আধ তোলা, চিনির রস দেড় সৈর, ঘৃত এক পোয়া।

 প্রথমে মুগের দাইল-চূর্ণ, ঘৃত এবং ক্ষীর উত্তমরূপে মিশাইয়া লও। এখন পরিষ্কৃত পাক-পাত্রে ঐ মিশ্রিত পদার্থ ঢালিয়া দিয়া, মৃদু জ্বালে