চন্দনী ক্ষীর।
খাঁটি দুধ হইলে-ই, ক্ষীর ভাল হয়। দুধ জালে মারিয়া, প্রতি সেরে আধ পোয়া হইতে দেড় পোয়া অবশিষ্ট থাকিলে, ক্ষীর প্রস্তুত হইতে দেখা যায়। আর প্রতি সের দুগ্ধে আধ পোয়া মিষ্ট দিতে হয়। চন্দনী ক্ষীরে প্রতি সেরে আধ পোয়া মিষ্ট দিলে-ই, যথেষ্ট হইয়া থাকে। কিন্তু চিনি দিলে, তাহাতে উহার ময়লা মিশিতে পারে, অতএব উহার পরিবর্তে বাতাসা ব্যবহার করিলে, অপেক্ষাকৃত পরিষ্কৃত হইয়া থাকে। কেহ কেহ ক্ষীরে গোলাপী আতরের গন্ধ করিয়া থাকেন। ক্ষীরের উপর পাতলা পাতলা পেস্তার কুচি ছাড়াইয়া দিতে হয়।
রসামৃত-লহরী।
এই মিষ্ট-দ্রব্য অত্যন্ত উপাদেয়। ভাল-রকম টাটকা ছানার জল মিংড়াইয়া, তাহাতে অল্প মাত্রায় বাজার ময়দা দ্বারা বাঁধন দিবে। অর্থাৎ পান্তোয়া প্রভৃতিতে যে নিয়মে বাঁধন দিতে হয়, সেই নিয়মে খামির তৈয়ার করিবে। এখন এই ছানার খামির গুছি বা লেচি কাটিবে। এবং কচুরি গড়িবার সময়, যেমন হাতে করিয়া, সামান্যরূপ চেপ্টা করিয়া অল্প টিপিতে সেইরূপ ছানার গুছি চেপ্টা করিয়া, ঘৃতে ভাজিবে। ভাজা হইলে তুলিয়া, চন্দনী ক্ষীরে ডুবাইয়া দিবে। এস্থলে একটি কথা জানা আবশ্যক যে, ছানায় ময়দা মিশাইবার সময়, সেই সঙ্গে পরিমাণ-মত ছোট এলাচ, সামান্যরূপ ভাঙ্গিয়া দিতে হয়। আর সাধারণ ক্ষীর অপেক্ষা উহাতে কিঞ্চিৎ মিষ্টের পরিমাণ অধিক দিলে ভাল হয়। ক্ষীরের মিষ্ট-রস রসামৃত-