পরিমিত ঘৃত জ্বালে চড়াইয়া দাগ করিয়া তাহাতে ঐ বড়াগুলি ঢালিয়া দিয়া, মৃদু তাপ দিতে থাক, দেখিবে ঘৃত হরিৎবর্ণ হইয়াছে।
লোহিত বর্ণ।—একপোয়া পরিমিত কন্কানটে শাক বাটিয়া, এক সের পরিমিত ঘৃতে নিক্ষেপ করিয়া, উপরোক্ত উপায়ে প্রস্তুত করিলে, ঘৃতের বর্ণ লাল হইবে
বাদামী বর্ণ।—আট আনা জাফরাণ, এক তোলা নারিকেল, এক সঙ্গে উত্তমরূপে বাটিয়া, তাহাতে একটি লেবুর (পাতি কিংবা কাগজি) রস মিশাইয়া বড়া প্রস্তুত করিবে। এদিকে, ঘৃত জ্বালে চড়াইয়া, তাহাতে ঐ বড়া নিক্ষেপ করিয়া, মৃদু তাপ দিতে থাকিবে; দেখিবে, ঘৃতের উত্তম বাদামী বর্ণ হইয়াছে।
যদি-ও নানা উপায়ে ঘৃতের নানা প্রকার বর্ণ করা যাইতে পারে, কিন্তু কোন প্রকার দ্রব্য মিশাইয়া, উহার স্বাভাবিক গুণের পরিবর্ত্তন না করাই ভাল।
আয়ুর্ব্বেদ-মতে ঘৃতের সাধারণ গুণ। — আয়ুর বৃদ্ধিকারক, শরীরের দৃঢ়তা-বর্দ্ধক, শীত-নাশক, বল-কারক, পথ্য এবং কান্তি, সৌকুমার্য্য, বুদ্ধি ও স্মৃতি প্রভৃতির বৃদ্ধি-কারক।
মাখন।
দুগ্ধ থিতাইলে, উহার উপরে যে তৈলের মত পদার্থ ভাসিতে থাকে, তাহাকে-ই মাটা বলে। মাটা হইতে মাখন জন্মে। উদরে যখন কোন দ্রব্য-ই না তলায়, তখন-ও মাটা অনায়াসে-ই হজম করিতে পার যায়। মাটা-তোলা দুগ্ধে ঘৃতের ভাগ অল্প দেখা যায়, সুতরাং যে রোগীর জীর্ণ না হয়, তিনি স্বচ্ছন্দে মাটা-তোলা দুগ্ধ ব্যবহার করিতে পারেন।