প্রথমে, একখানি পরিষ্কৃত কড়ায় ক্ষীর জ্বালে চড়াও; এবং তাহাতে কিঞ্চিৎ গরম দুধ ঢালিয়া দিয়া, খুন্তি দ্বারা নাড়িতে চাড়িতে থাক। জ্বালে গাঢ় হইয়া আসিলে, তাহাতে পূর্ব্বোক্ত উপকরণগুলি (আদার রস ব্যতীত) ঢালিয়া দেও। যখন দেখিবে, বেশ শক্ত গোছের হইয়া আসিয়াছে, তখন পাক-পাত্রটি জ্বাল হইতে নামাইয়া রাখ, এবং নাড়িতে নাড়িতে জুড়াইয়া আসিলে, তখন এই ক্ষীর লইয়া এক একটি গুটি কাটিয়া পাত্রান্তরে রাখ। অনন্তর, আম-আদার রস হাতে মাখিয়া, পুর্ব্বোক্ত ক্ষীরের গুটি লইয়া, আমের ন্যায় আকৃতি গঠন করিবে। অথবা গুটি কাটিবার পূর্ব্বে সমুদায় ক্ষীরে আদার রস দিয়া লইলে-ও চলিতে পারে। আর, যেরূপ ছাঁচে আম-সন্দেশ প্রস্তুত হয়, সেইরূপ ছাঁচে ক্ষীরের গুটি পুরিয়া, চাপিয়া তুলিয়া লইলে-ই, উত্তম ক্ষীরের আম প্রস্তুত হইয়া থাকে। সমুদায় আমগুলি গঠিত হইলে, আমের কচি পাতা-যুক্ত সরু সরু ভাল ভাঙ্গিয়া কোন পাত্রে রাখ, এবং তাহার কোলে কোলে এক একটি আম সাজাইয়া দেও।
ক্ষীরের পিচ্ফল।
নিচুর ন্যায় ক্ষীর দ্বারা পিচ্ফল প্রস্তুত হইয়া থাকে। পিচ্ তৈয়ার করিতে হইলে, প্রথমে কঠিন গোছের ক্ষীর লইয়া একটি পাত্রে করিয়া জ্বালে চড়াইতে হইবে। এই সময় উহাতে অল্প পরিমাণ গরম দুধ মিশাইয়া, খুন্তি দ্বারা ঘন ঘন নাড়িতে থাকিবে। অনন্তর, উহা উত্তম গাঢ় গোছের হইয়া আসিলে, জ্বাল হইতে পাত্রটি নামাইবে।
যখন দেখা যাইবে, ক্ষীর বেশ ঠাণ্ডা হইয়াছে, তখন তদ্দ্বারা এক একটি পিচ-ফলের সদৃশ ক্ষীরের পিচ্ গড়াইবে। পিচের মাথার দিক্টা