অল্প বাঁকা ধরণের, সুতরাং গড়াইবার সময় তাহা যেন মনে থাকে। এইরূপে সমুদায়গুলি গঠিত হইলে, তাহার গায়ে যবের ছাতু মাখাইবে। ছাতু মাখান হইলে আল্তা গুলিয়া ছোপ দিয়া তাহার রং করিবে। এই সময় একটি কথা মনে রাখা আবশ্যক; অর্থাৎ পাকা পিচের সমস্ত অংশ এককালে লাল হইয়া উঠে না, সুতরাং কেবলমাত্র বাঁকের কাছ হইতে মুখ পর্য্যন্ত রং দিতে হয়। ফলতঃ, পাকা পিচের আকার ও বর্ণ বেরূপ দেখিয়াছ, অবিকল সেইরূপ করিবে। যাঁহারা প্রথমে উহা প্রস্তুত করিবেন, একটি পিচ্ফল সম্মুখে রাখিয়া তৈয়ার করিলে ভাল হয়। একটু হাতের নিপুণতা ভিন্ন উহাতে আর কিছুমাত্র বিদ্যা প্রকাশের প্রয়োজন হয় না।
এক্ষণে গঠিত ও রঞ্জিত পিচ্গুলির বোঁটা করিতে হইবে। অতএব একটি লবঙ্গ ফুটাইয়া, তাহার পাশে বড় এলাচের দুই চারিটি দানা সাইয়া দেও, বোঁটা প্রস্তুত হইবে। অনন্তর, পিচের কচি পাতা-সমেত কচি ডাল আনিয়া থালায় রাখ এবং তাহার কোলে অর্থাৎ শাখার যে যে স্থানে ফল ধরে, সেই সেই স্থানে ঐ পিচ্গুলি সাজাইয়া দেও; দেখিবে উহা যেন ঠিক ডাল-সহ পিচ্সমূহ থালায় শোভা পাইতেছে। এখন উহা কুটুম্বিতা প্রভৃতিতে ব্যবহার কর।
ক্ষীরের কামরাঙ্গা।
ক্ষীরের কামরাঙ্গা প্রস্তুত করিতে হইলে, কামরাঙ্গার ছাঁচে তৈয়ার করিতে হয়।
খোয়া ক্ষীয়ে কিছু গরম গাওয়া ঘৃত ও জাফরান মিশাইয়া উত্তম-