রূপে চটকাইয়া লও। রেশ মোলায়েম গোছের হইয়া আসিলে, তখন সেই ক্ষীরের এক একটি গুটি কাট। এখন, এই গুটি কামরাঙ্গার ছাঁচে পুরিয়া চাপিয়া ধর, কামরাঙ্গা প্রস্তুত হইল। পরে, আস্তে আস্তে ছাঁচ হইতে বাহির করিয়া লও, দেখিবে ক্ষীরের অতি উৎকষ্ট কামরাঙ্গা প্রস্তুত হইয়াছে। এই কামরাঙ্গা জল-পানের থালা সাজাইবার পক্ষে, অতি আদরের সহিত ব্যবহৃত হইয়া থাকে।
ক্ষীরের আপেল।
ক্ষীরের রের সঙ্গে কিছু নটকানের রং মিশাইয়া, উহা বেশ করিয়া ঠাসিয়া লও। ইচ্ছা হইলে, এই সময় ছোট এলাচের গুঁড়া কিংবা গোলাপী আতর-ও দুই এক বিন্দু মিশাইতে পার। ক্ষীর উত্তমরূপ ঠাসা হইলে, তাহার গুটি কাটিবে। এখন, এই গুটি আপেলের ছাঁচে পূরিয়া বাহির করিয়া লইলে-ই, ক্ষীরের অতি সুদৃশ্য আপেল ফল প্রস্তুত হইল।
এস্থলে জানা আবশ্যক, কেহ কেহ প্রথমে ক্ষীরের সঙ্গে নটকানের রং না মিশাইয়া, ছাঁচ হইতে বাহির করার পর রং দিয়া-ও থাকেন। কারণ, আপেল ফলের সমুদায় অঙ্গ একরূপ লাল হয় না। যে ষে স্থানে লাল হওয়া সম্ভব, সেই সেই স্থানে রং করা প্রয়োজন।
ক্ষীরেলা।
খাঁটি দুধই ক্ষীরেলার পক্ষে প্রশস্ত। দুধ যে পরিমাণে নির্জ্জলা হইবে, ক্ষীরেলার আস্বাদ ও সেই পরিমাণে সুমধুর হইবে।