পাতা:মিষ্টান্ন-পাক.djvu/৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
প্রথম পরিচ্ছেদ।
৩৭

মনে কর, তিন সের দুধের ক্ষীরেলা প্রস্তুত করিতে হইবে। প্রথমে একখানি পরিষ্কৃত কড়ায় দুধ ছাঁকিয়া, জ্বালে চড়াইবে। জ্বালের অবস্থায় সর্ব্বদা নাড়িতে থাকিবে। বিশেষতঃ, যখন দুধ উথলিয়া উঠিবে, তখন হইতে খুব ঘন ঘন কাটি দিয়া ঘুটিতে বা নাড়িতে হইবে। দুধ অর্দ্ধেক পরিমাণ জ্বলে মরিয়া আসিলে, তাহাতে সাত আটখানি চিনির বাতাসা দিয়া নাড়িতে থাকিবে। এবং যখন দেখিবে, দুধ মরিয়া গাঢ় হইয়া আসিতেছে, সেই সময় উহা এরূপ নিয়মে চারিধারে নাড়িতে থাকিবে, যেন কড়ার গায়ে ধরিয়া বা আঁকিয়া না যায়। অনন্তর, যখন দেখিবে, ক্ষীর শক্ত কাদার মত ঘন হইয়াছে, তখন জ্বাল হইতে কড়াখানি নামাইবে, এবং একখানি পরিষ্কৃত পিতলের খুন্তি দ্বারা কড়ার গায়ের অর্থাৎ চারি ধারের ক্ষীর চাঁচিয়া একত্রিত করিবে। একত্রিত করা হইলে, খুন্তি দ্বারা খুব নাড়িতে থাকিবে। নাড়িতে নাড়িতে উহা অত্যন্ত নরম মোমের মত হইয়া আঁটিয়া আসিবে। অনন্তর, তাহা কোন পরিষ্কৃত পাত্রে তুলিয়া রাখিলে-ই ক্ষীরেলা প্রস্তুত হইল।

 এই ক্ষীরেলা দ্বারা ক্ষীরের নিচু, পিচ্‌, আম প্রভৃতি নানাবিধ সুদৃশ্য খাদ্য প্রস্তুত হইয়া থাকে। ফলতঃ, পাচিকাদিগের নিপুণতা অনুসারে, ক্ষীর দ্বারা নানা প্রকার ফুল, ফল প্রভৃতি কুটুম্বিতায় ব্যবহার্য্য তত্ত্বের উপযোগী দ্রব্য প্রস্তুত হইতে দেখা যায়। হিন্দু রমণীদিগের ন্যায় অন্য কোন দেশীয় মহিলাগণ ক্ষীরের উপাদেয় খাদ্য প্রস্তুত করিতে সমর্থ নহেন।

নষ্ট বা নট ক্ষীর।

 যে পাত্র উত্তমরূপে মার্জ্জিত হয় নাই, তাহাতে দুধ রাখিলে-ই তাহা নষ্ট হইয়া যায়। কাঁচা দুধ অধিক-ক্ষণ জ্বাল না দিয়া