সময় বাদাম ও পেস্তা এবং ছোট এলাচের দানা মিশাইতে পার। এই সকল দিলে, উহার আস্বাদ অপেক্ষাকৃত সমধিক সুমধুর হইবে। জ্বালের অবস্থায় বেশ ঘন হইলে, নামাইয়া লও। এই সুখাদ্য দ্রব্যকে ক্ষীরের যোসি করে।
ক্ষীর-কমলা।
ক্ষীর-কমলা পাক করিতে হইলে, খাঁটি দুধ সংগ্রহ করিবে। জলীয় দুধে উহার আস্বাদ ভাল হয় না। আর যে লেবু অম্লরস-বিশিষ্ট, তদ্বারা পাক করিলে, দুধ ছিঁড়িয়া যাইবার সম্ভাবনা। এজন্য খাঁটি দুধ ও মুমিষ্ট লেবু লইয়া, ক্ষীর-কমলা প্রস্তুত করিতে হয়।
প্রথমে, দুধ জ্বাল দিতে আরম্ভ করিবে। মৃদু জ্বালে ঘন ঘন নাড়িয়া, দুধ আওটাইতে থাকিবে। যখন দেখিবে, দুধ বেশ ঘন হইয়া আসিয়াছে, অর্থাৎ চন্দনে ক্ষীরের ন্যায় হইয়াছে, তখন তাহাতে চিনি ও কমলালেবুর রস দিবে। খাঁটি দুধ হইলে, প্রতি সেরে এক ছটাক চিনি দিলে, সুমিষ্ট হইবে। দুধে চিনি দিলে-ই, দুধ একটু পাতলা হইয়া আসিবে। এজন্য চিনির পরিবর্ত্তে সাদা বাতাসা দিতে পারা যায়। আর লেবুর খোসা, চিনি প্রভৃতি পরিষ্কৃত করিয়া, কোয়াগুলি পাতলা নেকড়ায় চিপিয়া, রস বাহির করিবে। পরে সেই রস দুধে দিবে। কেহ কেহ আবার রসের সহিত লেবুর কতক কুয়া ছাড়িয়া-ও দিয়া থাকেন। দুধ মরিয়া ক্ষীর হইলে, তাহা জ্বাল হইতে নামাইবে। ক্ষীর শীতল হইলে, উহাতে দুই এক ফোঁটা (পরিমাণ বুঝিয়া) গোলাপী আতর দিলে, ক্ষীর-কমলা অপেক্ষাকৃত উপাদেয় হইয়া থাকে। মিষ্ট খাদ্য-দ্রব্যের মধ্যে ক্ষীর-কমলা যার-পর-নাই রসনা তৃপ্তিকর।