পাতা:মিষ্টান্ন-পাক.djvu/৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
তৃতীয় পরিচ্ছেদ।
৬৯

হইবে, তাহা আর আশ্চর্য্যের বিষয় কি? এ সম্বন্ধে স্বাস্থ্য-পত্র যথার্থ-ই বলিয়াছেন। স্বাস্থ্যের প্রয়োজনীয় প্রস্তাব নিয়ে উদ্ধৃত হইল।

 “মিঠাই প্রভৃতি মিষ্টান্ন না পাইলে, ছেলেরা ছাড়ে না, কাঁদিয়া পিতামাতা আত্মীয়বর্গকে অস্থির করে। শুদ্ধ ছেলেদের দোষ দিলে-ই বা চলিবে কেন? আমাদের-ও দোকানের খাবার না খাইলে চলে না। অথচ, দোকানের খাবার খাইয়া-ই, আমরা অনেক রোগকে ডাকিয়া আনি। অম্লের পীড়া ত বাজারের খাবার খাইয়া-ই হয়। সহরের বার আনা লোকের অম্লের পীড়া, ইহা ত সকলে-ই দেখিতেছেন। কিন্তু তাহার প্রতিবিধানের উপায় কি? কয়জন লোক, গৃহে মিঠাই প্রভৃতি মিষ্টান্ন প্রস্তুত করিয়া, রসনা তৃপ্ত করিতে পারেন? ঘৃত, চিনি ও ময়দা একত্র পাক করিয়া-ই অধিকাংশ মিষ্টান্ন প্রস্তুত হয়। এই তিন দ্রব্য পৃথক্ পৃথক্‌রূপে অধিক পরিমাণে আহার করিলে-ও কোন পীড়া জন্মে না। কিন্তু, যখন-ই তিনে এক হইয়া, পাক হয়, তখন-ই তাহা গুরু-পাক হইয়া উঠে, সহজে আর হজম হইতে চাহে না।

 একে ত মিঠাই প্রভৃতি সহজে গুরু-পাক, তাহার উপর যদি ঐ সকল দ্রব্য বিশুদ্ধ না হয়, তাহা হইলে ত সোণায় সোহাগা হইল। সহরে বা মফঃস্বলে, যত মিঠাইকর দেখিবে, সকলের-ই পুঁজি অল্প। কাজে-ই দু’টাকা লাভ করিবার জন্য, তাহারা খুঁজিয়া খুঁজিয়া, যত জঘন্য ঘৃত, চিনি ও ময়দা অল্প মূল্যে খরিদ করিয়া, খাদ্য প্রস্তুত করে। ইহাতে-ও যদি পীড়া না হইবে, তবে হইবে কিসে? তাহার উপর আবার রাস্তার যত ধূল। উড়িয়া, মিঠাই আদির কলেবর পুষ্ট করে!

 দোকানের কড়াই প্রভৃতি মিষ্টান্ন-প্রস্তুতের আধারগুরি, যিনি স্বচক্ষে মনোযোগের সহিত দেখিয়াছেন, তিনি-ই জানেন, ঐগুলি কিরূপ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন! ভেজাল দেওয়া ঘৃত ব্যবহার করিলে, আইনানুসারে দণ্ড হয় সত্য, কিন্তু কার্য্যতঃ, এ বিষয়ে কর্ত্তৃপক্ষের সেরূপ দৃষ্টি আছে কি? হেল্‌থ-