আমাদের বিবেচনায়, খাদ্য দ্রব্য স্বাভাবিক অবস্থার রাখা-ই সুব্যবস্থা। কারণ, যাহাতে স্বাস্থ্যের কোন প্রকার ব্যাঘাত হইবার সম্ভব, তাহা পরিত্যাগ করা-ই সুপরামর্শ। তবে যে সকল দ্রব্য সংমিশ্রণে কোন প্রকার অপকার না হয়, তাহাতে কোন আপত্তি না থাকিবার কথা। ফলতঃ, খাদ্য-দ্রব্য প্রস্তুতকালে স্বাস্থ্যের প্রতি দৃষ্টি রাখিয়া, তাহা প্রস্তুত করা-ই কর্ততব্য। যে নিয়মে ময়দায় রঙ করিতে হয়, তাহা নিম্নে লিখিত হইতেছে।
বাদামী বর্ণ।— চারি মাসা লেবুর (কাগজী বা পাতি ইত্যাদি) রসে এক মাসা জাফরাণ-বাটা মিশাইয়া, সমুদায় ময়দায় মাখাইয়া খমির প্রস্তুত করিলে, উহার বাদামী বর্ণ হইবে।
কৃষ্ণবর্ণ।—সুপারি পোড়াইয়া ছাই করিবে। এই ছাই ময়দায় মিশাইয়া লইলে কৃষ্ণবর্ণবিশিষ্ট হইবে।
পীতবর্ণ।—এক খণ্ড লৌহ আগুনে লাল করিয়া পোড়াইবে। পরে, এক পোয়া ডালিমের রসে উহা ডুবাইয়া ধরিবে। এইরূপ দুই তিনবার করিলে-ই উহা পীতবর্ণ হইবে। এখন উহা ময়দায় মাখাইলে, উহার বর্ণ পরিবর্ত্তিত হইবে।
খমির প্রস্তুত করিবার নিয়ম।
লুচি, কচুরি, গজা প্রভৃতি প্রস্তুত করিতে টাট্কা ময়দা-ই প্রশস্ত। ময়দা টাট্কা, উপযুক্ত পরিমাণ ময়ান এবং মাখিবার সুব্যবস্থা অর্থাৎ উত্তমরূপ হইলে, তদ্দ্বারা উৎকৃষ্ট ঘৃত-পক্ব দ্রব্য প্রস্তুত হইয়া থাকে। এস্থলে আর একটি কথা মনে রাখা আবশ্যিক যে, ময়দা অত্যন্ত মিহি হইলে, তাহাতে অধিক ঘৃত টানিয়া থাকে। মোটা ময়দায় ঘৃত অল্প