ক্ষীর ও ছানার লুচি।
হিন্দুজাতির খাদ্য মধ্যে ক্ষীরের লুচি একটি উৎকৃষ্ট খাদ্য। লুচি প্রস্তুত করিবার নিয়মানুসারে টাট্কা অথচ মিহি ময়দায় ময়ান দিয়া মাখিয়া রাখ। এদিকে কঠিন আকারের ক্ষীর উত্তমরূপে বাটিয়া লও। ক্ষীর বাটিলে, উহা মোমের ন্যায় নরম হইয়া আসিবে, অথচ তাহাতে খিচ থাকিবে না। এখন এই ক্ষীরের লেচি কাটিয়া ছোট ছোট লুচির ন্যায় বেলিয়া রাখ। পূর্ব্বে যে ময়দা মাখা হইয়াছে, তদ্দ্বারা এক একখানি লুচি ক্ষীরের লুচির ন্যায় বেলিয়া লও। এখন একখানি ময়দার লুচির উপর, একখানি ক্ষীরের লুচি স্থাপন কর, এবং তাহার উপর আবার আর একথানি ময়দার লুচি ঢাকা দেও, অর্থাৎ ভিতরে ক্ষীরের লুচি ও উপরে ময়দার লুচি দ্বারা আচ্ছাদিত করিয়া রাখ, এবং তাহার চারি ধারে এরূপ নিয়মে মুড়িয়া দেও, যেন ক্ষীরের লুচি বাহির হইয়া না পড়ে।
লিখিত নিয়মে লুচি বেলিয়া তাহা ঘৃতে ভাজিতে হইবে। লুচিভাজার নিয়মানুসারে ভাসা ঘৃতে উহা ভাজিবে। কারণ, ঘৃত অল্প হইলে, ভাল ফুলিয়া উঠিবে না। ভাজা-দ্রব্য না ফুলিলে তাহা তত সুখাদ্য হয় না, কঠিন ও নিরেট হয়। ক্ষীরের লুচি অত্যন্ত ফুলিয়া থাকে। ঘৃতে যেমন লুচি ভাজা হইবে, সেই সময় উনানের নিকট, একটি পাত্রে চিনির রস রাখিতে হইবে। লুচি ভাজা হইলে অর্থাৎ ঘৃত হইতে তুলিয়া, চিনির রসে ডুবাইয়া রাখিরে। এই লুচি টাট্কা খাইতে এক প্রকার আস্বাদন; আর বাসী হইলে অন্যরূপ হইয়া থাকে। ক্ষীরের লুচি অপেক্ষাক্বত সুস্বাদু করিতে হইলে, ক্ষীরের সহিত অল্প পরিমাণে গোলাপী আতর এবং পেস্তা ও বাদাম বাটা মিশাইয়া লইলে, আর-ও ভাল হয়। আতর ব্যবহারে যাহাদের আপত্তি থাকে, তাঁহারা