পাতা:মিষ্টান্ন-পাক.djvu/৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
চতুর্থ পরিচ্ছেদ।
৮৩

গরম ঘৃত মাখাইয়া লইলে-ই হইল। ইচ্ছা হয় যদি, অগ্রে জলের হাত মাখিয়া, পরে ঘৃত মাখাইতে-ও পারা যায়। কিন্তু ঘৃত মাখার পর, পুনর্ব্বার আগুনের উপর রুটির গোছা ধরিয়া গরম করিয়া লইলে ভাল হয়।

 পরোটা——রুটির ন্যায় ময়ান দিয়া, পরোটার ময়দা মাখিয়া লইবে। প্রথমে যেমন রুটি বেলিতে হয়, সেইরূপ লেভি (আধ পোয়া হইতে এক পোয়া পরিমাণে) বেলিয়া গোলাকার কর, পরে তাহা উল্টাইয়া একটি ভাঁজ কর, এখন এক দিকের কোণ ধরিয়া, অপর দিকের কোণে যোগ কর; এবং প্রত্যেক ভাঁজে ধৃত লেপিয়া বেল। কেহ কেহ আবার ঐরূপ পাঁচ সাত ভাঁজ করিয়া, প্রত্যেক ভাঁজে ঘঁত দিয়া বেলিয়া, পরোটা তৈয়ার করিয়া থাকেন। বাস্তবিক, এইরূপ পরোট। সুখাদ্য হইয়া থাকে। অনন্তর, তাহা ভাজিয়া বা সেঁকিয়া লইবে। প্রথমে তাওয়াতে একটু ঘৃত দিয়া গরম করিবে, তাহার উপর বেলা পরোটাখানি রাখ, এবং মৃদু তাপ দিতে থাক। তীব্র জ্বাল পাইলে পুড়িয়া উঠিবার উপক্রম হইলে উল্টাইয়া দিবে, এবং পরোটার উপরে ও নীচে ঘৃত দিবে। আর ভাঁজের জোড়ের মুখ খুক্তি দ্বারা টিপিয়া ধরিবে। এইরূপ ধরিলে উহা উত্তমরূপ ফুলিয়া উঠিবে, অর্থাৎ সামান্যরূপ টানিলে-ই, পরতে পরতে খুলিয়া যাইবে। পরোটা প্রস্তুত করিয়া, গরম গরম আহার করিলে সুখাদ্য হয়। ঠাণ্ডা হইলে পুনরায় আগুনে গরম করিয়া লইলে ভাল হয়। লুচি অপেক্ষা পরোটায় ঘৃত কম লাগিয়া থাকে অথচ খাইতে বেশ মুখ-প্রিয়।

 আয়ুর্ব্বেদ-মতে রুটির গুণ।—গুরু-পাক, রুচি-কর, পটু জনক, বল-কারক ও ধাতু-বন্ধক এবং বায়ু ও কফ-নাশক।