পাতা:মীরাবাঈ - অমরচন্দ্র ঘোষ.pdf/২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२२ মীরাবাঈ জীবানন্দ । • গীত । ( ওগো ) তৃষিত চাতক মাঙে বারি ! বরিষ অমিয়-ধারা, নীল নীরদ তুমি, মরি যে ফুকারি—, ফুকারি । মুকুন্দ মুরারী, নিধুবন চারী, নিকুঞ্জ দুয়ারে, রূপের ভিখারী, বাজায়ে বঁাশরা, নুপুর গুঞ্জরি দেখ দাও হরি, শিথীপাখাধারী । ( গীত সহ প্রস্থান ) শ্রীরূপ । খোল দ্বার ! খোল দ্বার ! ওগো কুঞ্জকুটার বিহারী ! রূপের ভিখারী প’ড়ে দ্বারে । অভিমান ভরে, কেন ব’সে আর গোকুলচাদ । মান অভিমান ঐ যমুনার জলে ভাসিয়ে দিয়ে, দারুণ পিপাসা নিয়ে, কত আশা বুকে পুরে এসেছি আজ তোমারই চরণ-ছায়ায় ! তৃপ্ত কর—তৃপ্ত কব মাধব ! ওহে ! এ যে অফুরন্ত আশা—যুগযুগাস্তের আকুলতা — ( সোপানে মূৰ্ছা ও ললাটে আঘাত ও রক্তস্রাব ) ( জীবানন্দের ভিন্ন পথে প্রবেশ ) জীবানন্দ । -না ; আর তকোন দ্বার পেলুম না ! ঐ যে প্রভু আমার ঘুমিয়ে পড়লেন । প্ৰভু ! উঠুন ! একি ! কপাল ফোঁট যে রক্ত প’ড়ছে ! উঃ! কি করি—কি করি ! শ্রীরূপ । ( মুচ্ছাভঙ্গে ) জীবানন্দ । আর চিন্তা নাই ! আর চিন্ত৷ নাই ! ঐ আসে রাই উন্মাদিনী ! এইবার খুলে যাবে কালার ঐ কুঞ্জের দ্বার । ষাও যাও—ত্বাবে পথ দেখিয়ে, শীঘ্র নিয়ে এস জীবানন্দ ! নইলে যে সে এই ঘন বনের মাঝে দিশেহারা হ’য়ে প’ড়wব !