পাতা:মীরাবাঈ - অমরচন্দ্র ঘোষ.pdf/৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মীরাবাঈ II কুম্ভ । বোধ হয় গিরিধধজীর মন্দিরে ! তারাবাঈ। কোথায় কুমার রত্নসিংহ–? কুম্ভ । এই দুর্গ-কক্ষে বন্দী । তারাবাঈ। কে আছ ? ( প্রহরীর প্রবেশ ) বন্দী রত্নসিংহকে ঐখানে নিয়ে এস, আর মহারাণী কোথায়, আমাকে এই মুহুর্ভে জানাও ! প্রহরী । যে আদেশ । ( প্রস্থান ) তারাবাঈ । পুত্ৰ ! তুমি বিচক্ষণ ব’লেই—উদার বলেই, আমার মনে মনে বড় গৰ্ব্ব ছিল—! কিন্তু আজ দেখছি সে আমার ভ্রান্তি! ( বন্দী রত্নসিংহকে লইয়া প্রহরীর প্রবেশ ) তারাবাঈ । কুমার রত্নসিংহ । শিশোদীয় বংশের বীর সন্তানেরা, কখনও নিরস্ত্র, নিঃসহায় বীরকে বন্দী ক’রে রাখে না | তুমি মুক্ত ! ( শৃঙ্খল মোচন ) বাহুবলে, অস্ত্রের সাহায্যে, পারত ঐ শ্রুতিবাঈকে উদ্ধার ক’রে । গভীর নিশীথে হীন তস্করের মত, ওকে চুরি ক’ৰ্ত্তে এসে, তুমি রাজপুত শৌর্য্যকে কলঙ্কিত ক’রেছ ! ছিঃ ! ছিঃ !— রত্নসিংহ । মা ! আপনার উপদেশ আমি মাথা পেতে নিচ্ছি। আমি লজ্জিত । তারাবাঈ । প্রাসাদ দুর্গের বাইরে এর কাল অশ্বটী অপেক্ষা ক’ৰ্ছে ! একে সেইখানে পৌছে দিয়ে এস। ৭ প্রহরীর প্রস্থান )* রত্নসিংহ । এ উদারতা আমি জীবনে বিস্তৃত হব না ! বহু ভাগ্যে আজ বন্দী হ’য়েছিলুম মা, তাই আজ রাজস্থানের দুটা মহীয়সী নারীমূৰ্ত্তি—গৌরবময়ী দেবীমূৰ্ত্তি দর্শন কৰ্ত্তে পেরেছি! একটা আমার সম্মুখে—আর একটা ঐ গিরিধরজীর স্বর্ণ সিংহাসনতলে রুদ্যমান জননী মীরাবাঈ ।