পাতা:মীরাবাঈ - অমরচন্দ্র ঘোষ.pdf/৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪২ মীরাবাঈ রত্নসিংহ। মা মা ! মহারাণ ! সব শেষ ! গোবিন্দজীর শ্ৰীপদে, পুষ্পাঞ্জলির মত প’ড়ে আছে, উপেক্ষিত দেবীর ঐ নিম্প্রাণ দেহ ! রেহিদাস। দেবি ! এই নাও তোমার অলঙ্কার । আমায় দাও মা তোমার চরণের ধূলো । ( প্ৰণাম ) কুন্ত। তবে কেন এলেম,—কি দেখতে এলেম ? কথা কও, কথা কও প্রিয়তমে ! অভিমানিনি । চেয়ে দেখ,—আমি যে তোমার ক্ষম ভিক্ষা চাইতে এসেছি ! পাষাণি ! আমায় সে সুযোগও দিলি না ! তবে, তবে নিয়ে যা তোর সেই কলঙ্কের মালা, আমার হৃদয়ে জালা, ঐ কালার অভিসারের প্রণয়-উপহার । ( মাল পরাইয়া দিল । ) হাহাকার । শুধু হাহাকার ! কোথায় যাই । কাকে জানাই আমার প্রাণের এই ব্যাথা—? শ্রীরূপ। শ্ৰীপতির ওই শ্ৰীপদে রাণা ! প্রেম নাই—প্রেম নাই আমার ! তাই শুধু হাহাকার,—শুধু চীৎকার ক’রে মরি! ঐ দেখ’ মাটীর কারাগার—ওই অসার পিঞ্জর-দ্বার ভেঙ্গে প্রেমের প্রাণপার্থী উড়ে গেছে, ঐ অনন্তের চিরশান্ত, চিরপ্তাম, চির মলয়-মেদুর ঐ–কুঞ্জনীড়ে ! শ্ৰীকাস্তের ওই শ্ৰীপদ পঙ্কজে । C ষবনিক” )