পাতা:মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্রহ প্রথম খণ্ড.djvu/১০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এর উপায় কি ? ది 6 সে পরের। আমি দিনরাত কাদি । সে মনেও করে না, এ দুঃখ আর কারে বলি । রাই—তুমি আগে হাত খাট করে চিল দিয়ে ঠকেছ, মনে মনে জানতে আমিই সকল, আমি ভালবাসা । সময় সময় হেসে দুটো কথা বলতেন তাতেই আহলাদে গলে পড়তে। সৈ । পুরুষের মন পাওয়া ভার, তাদের চাতুরী আমাদের বুঝবার সাধা নাই। এ তে কথাই আছে, “নৃতনে পোডে বন, পুরাতনে জালাতন” । এর পর তুমি যেমন হাবা, একালে আব একটি জোড়া পাওয়া ভার। এখন কলি কাল, সোজা কথায় চলে না, হাবা মেয়ে হলে ভাতার জব্দ থাকে না ; নরম গরম দুই চাই । কখনও ভয় দেখাতে হয়, ভরসা ও দিতে হয় । আমি তো অনেক দিন থেকেই দেখে আসছি যদি কোন দিন রাগ করে মুখখানি ভার কবে বসে থাক, বাবু এসে দুট কথা বলতেই জল হয়ে গেলে, হাসি দেখে অমনি হেসে ফেলে সকল কথাই ভুলে বসলে, এতে ছাই আর কি হবে ? মুক্ত—সৈ, মনের কথা বলি ! মনে আঁচ কবি যে, আজ একখানা ক’বব, আবার ভাবি, যে আজ না হয় কাল করব, এই ভাবতে হঠাৎ একদিন তার মুখখানি নজরে পড়লো সকলেই ভুলে যাই । হাসিমুখে দুট কথা শুনলে, আর আগের ভাব কিছুই মনে থাকে না । রাই—ত। বুঝেছি। অমন করেই তো তোমার মাথা তুমি খেয়েছ ; বানরকে নাই দিলে মাথায়, তা জান । মুক্ত—ছি, সৈ। স্বামী তাকে— রাই—ত যাই বল, মনমোহিনীর কথা শোন নাই, আজকাল স্বামী বলে পূজা কল্পে চলে না, সে কালও নাই, তেমন স্বামীও নাই ! এখনকার মদখোর আর বেশ্বাথোর স্বামী যে বানব হতেও বাড়া । তুমি যদি দুবেল। দু-ঘা কসে জুতো মারতে তাহলে এক্ত করে মাথায় চড়ত না । মেয়ে বলি মনমোহিনী ! যেমন বিষ তেমনি রোজা । একদিন করি বাড়িতে গিয়েছিল, এই কথা শুনে রসিকবাবুকে তে। আচ্ছ করে বিষঝাড়া ঝেড়ে, সেই মাগীকে মা বলিয়ে ছেড়ে দিলে। চন্দ্রদাদা নেতার ঘরে বসে ইয়ার নিয়ে মজা করছিলেন, কুমুদিনী সেই রাত্রে বাড়ি হতে গোপনে বেরিয়ে নেতার ঘরের